ঢাকা, সোমবার, ২২ আশ্বিন ১৪৩১, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৩ রবিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

নির্বাচন কমিশন একটা ঠুঁটো জগন্নাথ: মির্জা ফখরুল 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৭ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০২৩
নির্বাচন কমিশন একটা ঠুঁটো জগন্নাথ: মির্জা ফখরুল  সমাবেশে প্রধান অথিতির বক্তব্য দেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: উজ্জ্বল ধর

চট্টগ্রাম: আওয়ামী লীগকে একটি বক ধার্মিক দল জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বক যেমন পুকুর জলশয়ের ধ্বারে এক পায়ে বসে থাকে মাছ ধরার জন্য, তারাও (আওয়ামী লীগ) সুযোগের অপেক্ষায় বসে থাকে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য। তারা এখন বলে বেড়াচ্ছে আওয়ামী লীগের অধীনে নাকি সুষ্ঠু নির্বাচন হবে।

সবাই যেন নির্বাচনে অংশ নেয়। এ যেন ‘ভূতের মুখে রাম রাম’।
আসলে আওয়ামী লীগের চরিত্রই ভালো না। আর নির্বাচন কমিশন হচ্ছে একটা ঠুঁটো জগন্নাথ, তাদের কোনো ক্ষমতা নেই। আওয়ামী লীগ যা বলে তা বাস্তবায়ন করে।

রোববার (১৬ জুলাই) বিকেলে নগরের কাজীর দেউড়িতে চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রমিক দলের শ্রমিক-জনতার মহাসমাবেশে প্রধান অথিতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, তারা (আওয়ামী লীগ) বলে, নির্বাচন আমাদের অধীনে হবে। আমরাই ভোট কেন্দ্র নিয়ন্ত্রণ করবো। আমরাই ভোট দেওয়াবো, আমাদের মতো করে সবাইকে ভোট দিতে হবে। নইলে চলে যেতে হবে। এমনকি আমাদের ভোটারদের এখনও বলে তারা ভোট কাকে দেবে। যদি বিএনপিকে ভোট দিতে চাও তাহলে তোমার ভোট হয়ে গেছে। ভোট কেন্দ্রে যেতেই দেয় না।

তিনি আরও বলেন, বন্দুক দিয়ে, হুমকি দিয়ে ভয় দেখিয়ে আর কাজ হবে না। অনেক অপরাধ করেছেন, ১ লাখ ২৪ হাজার মামলা দিয়ে ৪০ লাখ নেতাকর্মীকে আসামি করেছেন। কেউ ক্ষমতায় চীরস্থায়ী থাকতে পারে নি। নমরুদ, ফেরাউন এমনকি এরশাদ স্বৈরাচারী কায়দায় ক্ষমতায় আকঁড়ে থাকতে ব্যর্থ হয়েছেন। ক্ষমতার এ মসনদ কারো জন্য পার্মান্টেট নয়, মানে মানে সরে পড়েন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার, নিরপেক্ষ সরকার, নির্দলীয় সরকার থাকলে আওয়ামী লীগের ভাত নেই। সবাইকে বোকা বানিয়ে বিচার ব্যবস্থার ওপর জোর দিয়ে, খায়রুল হকের ওপর জোর দিয়ে পার্লামেন্টে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিধান বাতিল করা হয়। ইলেকশনের আগে জনগণকে বলেছিল নির্বচিত হলে ঘরে ঘরে চাকরি দেবে ১০ টাকা কেজি চাল খাওয়াবে চাকরিতো কেউ পায়নি বরং ঘরে ঘরে বেকার বেড়েছে, চাউলের কেজি ৯০ টাকা হয়েছে। এ সরকার যতদিন থাকবে মানুষের দুর্ভোগ তত বাড়বে। তাই ভালো ভালোই পদত্যাগ করে মানুষকে মুক্তি দিন, না হয় জনগণ তাদের হারানো ভোটাধিকার আদায় করে নিতে বাধ্য হবে।

প্রধান বক্তার বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনে প্রত্যেক নাগরিক ভোট প্রদানের মাধ্যমে তাদের সংসদ সদস্য নির্বাচিত করবে, তাদের সরকার নির্বাচিত করবে।  

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আমীর খসরু বলেন, আমাদের এখন তৈরি হতে হবে। বিদেশিদের সমর্থন ভালো জিনিস। কিন্তু বিদেশিদের সমর্থনের ওপর বাংলাদেশের রাজনীতি নির্ভর করে না। মূল দায়িত্ব আমাদের পালন করতে হবে।  

বিএনপির কেন্দ্রিয় ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মীর নাসির উদ্দিন, কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লা বুলু, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাসেম বক্কর, উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খোন্দকার, এস এম ফজলুল হক ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, বান্দরবান বিএনপির নেতা ম্যামাচিং প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৬ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০২৩ 
এমআই/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।