ঢাকা, মঙ্গলবার, ২২ আশ্বিন ১৪৩১, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৪ রবিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

৫ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির আত্মসমর্পণ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০২৩
৫ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির আত্মসমর্পণ ছবি প্রতীকী

চট্টগ্রাম: পাঁচটি চেক প্রতারণার মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি খন্দকার লতিফুর রহমান আজিম আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন।

বুধবার (২৩ আগস্ট) চট্টগ্রামের চতুর্থ মহানগর যুগ্ম দায়রা জজ রাজিয়া সুলতানার আদালতে আত্মসমর্পণ করলে খন্দকার লতিফুর রহমান আজিমকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

খন্দকার লতিফুর রহমান আজিম, নগরের পাচঁলাইশ থানার নাসিরাবাদ হাউজিং সোসাইটি এলাকার মৃত খন্দকার মিজানুর রহমানের ছেলে।  

কারাগারে পাঠানোর বিষয়টি বাংলানিউজে নিশ্চিত করেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী মোরশেদুল আলম।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, এরাজ এন্টারপ্রাইজের মালিক খন্দকার লতিফুর রহমান আজিম ব্যবসার জন্য টাকা দেন মফিজুর রহমান নামে এক ব্যক্তি। মফিজুর রহমানকে ব্যবসার টাকা পরিশোধের জন্য খন্দকার লতিফুর রহমান আজিম নয়টি চেক দেন। নয়টি চেকের বিপরীতে টাকার পরিমাণ ছিল ১ কোটি ৭৫ লাখ ৮৮ হাজার টাকা। চেকের টাকা পরিশোধ না করায় ২০১৪ সালের বিভিন্ন সময়ে পাচঁটি চেক প্রতারণার মামলা করেন মফিজুর রহমান। ২০২২ সালের ২১ মার্চ চট্টগ্রামের চতুর্থ মহানগর যুগ্ম দায়রা জজ আদালত ১ কোটি ৭৫ লাখী ৮৮ হাজার টাকা জরিমানা ও পাচঁটি মামলায় প্রত্যেক মামলায় এক বছর করে মোট পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের রায় দেন। ২০২৩ সালের ১৫ মে রায়ের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের ৭ম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে আপিল করলে আপীল না-মঞ্জুর করে চতুর্থ মহানগর যুগ্ম দায়রা জজ আদালত রায় বহাল রাখেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আশকর আলী সুজন বাংলানিউজকে বলেন, পাঁচটি চেক প্রতারণার মামলায় পাচঁ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি খন্দকার লতিফুর রহমান আজিম আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করে। রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করে। আদালত উভয় পক্ষের শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে সাজা পরোয়ানা মূলে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনায় সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট মনজুর মোরশেদ।

বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০২৩ 
এমআই/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।