ঢাকা, মঙ্গলবার, ২২ আশ্বিন ১৪৩১, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৪ রবিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

অপশক্তি রুখতে তরুণদের অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে: ড. অনুপম সেন

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৩৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০২৩
অপশক্তি রুখতে তরুণদের অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে: ড. অনুপম সেন ...

চট্টগ্রাম: খ্যাতিমান সমাজবিজ্ঞানী প্রফেসর ড. অনুপম সেন বলেছেন, বাংলাদেশ বিরোধী অপশক্তি মোকাবিলায় তরুণ প্রজন্মকে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে। সরকারের বর্তমান উন্নয়ন ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রশংসনীয় ভূমিকা রাখছে সুচিন্তা ফাউন্ডেশন।

সোমবার (২৮ আগস্ট) চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সুচিন্তা ফাউন্ডেশন আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।  

সুচিন্তা বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট জিনাত সোহানা চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও দেবাশীষ পাল দেবুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষ অংশ নেন।

 

প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সমন্বয়ক জিনাত সোহানা চৌধুরী। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু রাজনীতিতে প্রবেশ করেছিলেন প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন নিশ্চিত করার জন্য, তাঁর গোটা জীবন বিশ্লেষণ করলে এ কথা নির্দ্বিধায় বলা যায়। পাহাড়সম প্রতিকূলতার মধ্যে দাঁড়িয়েও তিনি গরিব-দুঃখী ও শ্রমজীবী মানুষের কথা বলেছেন। মাত্র সাড়ে ৩ বছর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ তথা তাঁর সোনার বাংলা গড়ার নেতৃত্ব দিয়েছেন। দেশের উন্নয়নের ক্ষেত্রে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ, ক্ষমতায়ন ও অধিকারের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করেছেন। বঙ্গবন্ধু আমাদের চিরন্তন প্রেরণার উৎস। তার কর্ম, নীতি, আদর্শ ও দর্শন বেঁচে থাকবে অনন্তকাল। তাঁর উন্নয়ন দর্শনকে ব্যাখ্যা, বিশ্লেষণ ও প্রয়োগ অত্যন্ত জরুরি।

সংসদ সদস্য নোমান আল আহমুদ বলেন, শোষণহীন সমাজ গড়ার জন্য বঙ্গবন্ধু এক সুদীর্ঘ সংগ্রামের নেতৃত্ব দিয়েছেন, সবসময় শোষণের বিরুদ্ধে, বঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন, রুখে দাঁড়িয়েছেন শোষকদের বিরুদ্ধে। শোষণকে তিনি দেখেছেন বঞ্চনার একটি শক্তিশালী খুঁটি হিসেবে, সাম্যের পরিপন্থী হিসেবে এবং মানবাধিকারের সঙ্গে সংগতিহীন হিসেবে।

সংসদ সদস্য মহিউদ্দিন বাচ্চু বলেন, বঙ্গবন্ধু সাগরের সমান বিশাল। তাঁকে নিয়ে এক দিনের আলোচনা যথেষ্ট নয়। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আরও জানার, তাঁকে বিশ্লেষণ করার সুযোগ সৃষ্টিতে ধরনের আয়োজন নিয়মিত হওয়া উচিত।

চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম বলেন, প্রান্তজন অর্থাৎ সমাজে যারা পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী, তাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর যে ভাবনা, তাদের জন্য নানামুখী কর্মসূচি, তা আমাদেরও প্রতিটি কাজে প্রতিফলিত হওয়া উচিত যেন সমাজে সাম্য নিশ্চিত হয়। তিনি সবসময় সাম্যের কথা বলেছেন। তাঁর কথা, আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আমাদের পৌঁছে দিতে হবে পরের প্রজন্মের কাছে।

আলোচনায় অংশ নেন  ট্যুরিস্ট পুলিশের সুপার মো. আপেল মাহমুদ, সুচিন্তা বাংলাদেশ চট্টগ্রাম বিভাগের যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. মো. হোসেন আহামদ, আবুল হাসনাত চৌধুরী, নগর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মনোয়ার উল আলম চৌধুরী নোবেল, ফ্লোরিডা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ইমরান প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২২২০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০২৩
এআর/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।