ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৪ রবিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

৪ বছরেও কাটেনি জটিলতা, তালাবদ্ধ ঘরে অচল এমআরআই মেশিন 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৫, ২০২৩
৪ বছরেও কাটেনি জটিলতা, তালাবদ্ধ ঘরে অচল এমআরআই মেশিন 

চট্টগ্রাম: প্রায় চার বছর ধরে অচল চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের ম্যাগনেটিক রেজোন্যান্স ইমেজিং (এমআরআই) মেশিন। যন্ত্রটি কেনায় আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ থাকায় বিকল হওয়ার ৪ বছর পরও এখনও সচল করা যায়নি এটি।

সমস্যা সমাধানে মন্ত্রণালয়ে একের পর এক চিঠি দিয়েও আসেনি কোনো সমাধান।  

হাসপাতাল সুত্রে জানা গেছে, গত ২০১৫ সালে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এমআরআই মেশিনটি স্থাপন করা হয়।

চার বছর কাজ করলেও ২০১৯ সালে মাঝামাঝি এসে মেশিনটি বিকল হয়ে পড়ে। চায়নার তৈরি মেশিনটির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ছিল বেঙ্গল সায়েন্টিফিক অ্যান্ড সার্জিক্যাল কোম্পানি। প্রতিষ্ঠানটি মেশিনটির মেরামতে তিন বছরের ওয়ারেন্টি দেয়। ওই সময়ে কোনো সমস্যা দেখা দিলে মেরামত করে দেওয়ার দায়িত্ব ছিল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটির। কিন্তু ওয়ারেন্টির মেয়াদ শেষ হওয়ায় তাদের সেবা পাওয়া বন্ধ হয়ে যায়।  

অন্যদিকে, প্রায় ৯ কোটি ৯৫ লাখ ৫০ হাজার টাকায় যন্ত্রটি কেনা হলেও এ পণ্যটির দাম ছিল প্রায় ৩ কোটি টাকা। মেশিনটি কেনার সময় বড় ধরনের আর্থিক অনিয়মের প্রমাণ পাওয়ায় তদন্ত শুরু হয়। দীর্ঘ দিনের আইনি জটিলতায় পড়ে যন্ত্রটির মেরামত প্রক্রিয়াও আটকে যায়। বিষয়টি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত মেশিন মেরামত করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল সংশ্লিষ্টরা।  

তারা জানান, মেশিন চালু করতে বেশ কয়েকবার চিঠি দেওয়া হয় মন্ত্রণালয়ে। সর্বশেষ গত জুলাইয়েও চিঠি দেওয়া হয় মন্ত্রণালয়ে। এর প্রেক্ষিতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটির প্রতিনিধি দল এসে মেশিনটির বর্তমান অবস্থা দেখে যান। দীর্ঘদিন অচল থাকায় মেশিনটির অনেক যন্ত্রাংশ নষ্ট হতে চলেছে।  

চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক সেখ ফজলে রাব্বি বাংলানিউজকে বলেন, হাসপাতালে এমআরআই মেশিন চালু হলে রোগীদের জন্য অনেক সুবিধা। কিন্তু আমাদের যে এমআরআই মেশিনটি ছিল সেটি এখন বিকল অবস্থায় আছে। তাছাড়া মেশিনটি কেনার সময় আর্থিক অনিয়ম থাকায় আইনি জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি সমাধান না হওয়া পর্যন্ত চালু করা সম্ভব হবে না।  

তিনি বলেন, ২০১৯ সাল থেকেই একমাত্র এমআরআই মেশিনটি বিকল। আমি দায়িত্ব নেওয়ার মেশিনটি সচল করতে একাধিকবার চিঠি পাঠানো হয়েছে। সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলীরাও এসে ত্রুটি চিহ্নিত করে একটি খরচের বিবরণী দিয়েছেন। সেটি আবার নিমিউ এন্ড টিসিতে (সরকারি প্রকৌশল বিভাগ) পাঠানো হয়েছে। তারা দেখে সিদ্ধান্ত দিলেই কার্যক্রম শুরু হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০২৩
এমআর/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।