ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৪ রবিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চবিতে তাণ্ডব: ৭২ ঘণ্টায়ও হয়নি তদন্ত কমিটি 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৩
চবিতে তাণ্ডব: ৭২ ঘণ্টায়ও হয়নি তদন্ত কমিটি  ফাইল ছবি।

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) উপাচার্যের বাসভবন ভাঙচুরের ঘটনার ৭২ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও কোনো তদন্ত কমিটি গঠন করতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ঘটনার পর দুইটি মামলা হলেও আসামির তালিকা নিয়েও হচ্ছে লুকোচুরি।

তবে রোববারের (১০ সেপ্টেম্বর) মধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রক্টর নুরুল আজিম শিকদার। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে  তিনি বলেন, তদন্ত কমিটি গঠনের প্রস্তুতি চলছে।

আজকের মধ্যে কমিটি গঠন করা হবে। তবে কমিটি গঠনে এত দেরি হওয়ার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি তিনি।

এ ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে প্রক্টর আরও বলেন, যারা ওই রাতে হামলা করেছে তাদের চিহ্নিত করতে পুলিশ প্রশাসন কাজ করছে। গণমাধ্যমে প্রচারিত বিভিন্ন ফুটেজ পর্যালোচনা করা হচ্ছে। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখা হচ্ছে। এরই মধ্যে দুটি মামলা হয়েছে। যারা এ ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঘটনায় কারা জড়িত তা তদন্তে বলা যাবে।  

ক্যাম্পাসে তারা নিজেদের শিক্ষার্থী দাবি করলেও অনেকেই বহিরাগত বলে ইঙ্গিত দেন তিনি। এসময় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পূর্ব প্রস্তুতির ঘাটতি ছিল না বলে দাবি করেন তিনি।  

ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে রেজিস্ট্রার ও নিরাপত্তা প্রধান বাদি হয়ে দুটি মামলা করলেও মামলায় কাদেরকে আসামি করা হয়েছে তা নিয়ে মুখ খুলছেন না কেউ। হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান সঙ্গে কথা হলে তিনিও কারও নাম বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

গত কয়েকদিনের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের বক্তব্য জানতে সাংবাদিকরা দেখা করতে চাইলে তিনি দেখা করেননি।

এদিকে ভাঙচুরের পর ব্যবস্থা নিতে কর্তৃপক্ষের কালক্ষেপণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষকরা। তারা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনার পর প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে। অপরাধীদের ছাড় দেওয়া হলে, তা ভালো ফল বয়ে আনবে না।  

উল্লেখ্য, চবি উপাচার্যের বাংলো, শিক্ষক ক্লাব এবং পরিবহন ভাঙচুরের ঘটনায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা দুটিতে সাতজন করে ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কেএম নুর আহমেদ ও ভারপ্রাপ্ত নিরাপত্তা প্রধান শেখ মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক বাদি হয়ে মামলা দুটি দায়ের করেন বলে জানান হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৫ ঘন্টা,  সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৩
এমআর/এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।