ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৪ রবিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামে হচ্ছে শাহ আমানত ও মাস্টার দা’র নামে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৩
চট্টগ্রামে হচ্ছে শাহ আমানত ও মাস্টার দা’র নামে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতীকী ছবি।

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামে ইসলাম প্রচারের অন্যতম পুরোধা হযরত শাহ আমানত ও ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম নেতা মাস্টার দা সূর্য সেনের নামে হচ্ছে নতুন দুই সরকারি স্কুল ও কলেজ।  

মাস্টার দা সূর্য সেন সরকারি স্কুল অ্যান্ড কলেজ স্থাপিত হচ্ছে নগরের উত্তর পতেঙ্গার স্টিল মিল এলাকায়।

আর শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর স্কুল অ্যান্ড কলেজ স্থাপিত হচ্ছে দক্ষিণ পতেঙ্গার বিজয় নগর এলাকায়।

দশতলা বিশিষ্ট এই দুই ভবনের প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৫০ কোটি টাকা।

ইতিমধ্যে প্রকল্পের প্রায় ৩০ শতাংশ অগ্রগতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। এই দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পাঠদানের জন্য প্রস্তুত হলে সেখানে ১২০০ এর বেশি শিক্ষার্থী অধ্যয়নের সুযোগ পাবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

জানা গেছে, মাস্টার দা সূর্য সেন সরকারি স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রতিষ্ঠানটি দুই একর ভূমির ওপর নির্মাণে প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ২৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা। শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রতিষ্ঠানটি প্রায় এক একর ভূমির ওপর নির্মাণে প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ২৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রদীপ কুমার সরকার বলেন, উত্তর পতেঙ্গার মাস্টার দা সূর্য সেন সরকারি স্কুল অ্যান্ড কলেজের পাইলিংয়ের কাজ শেষ হয়েছে। শীঘ্রই ফাউন্ডেশনের কাজ শুরু হবে। অন্যদিকে, দক্ষিণ পতেঙ্গার বিজয়নগর এলাকায় শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর স্কুল অ্যান্ড কলেজের নিচতলার কলামের ঢালাইয়ের কাজ চলছে। বর্তমানে দুটি ভবনের কাজের মোট অগ্রগতি ৩০ শতাংশ।  

এ দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে স্কুল অ্যান্ড কলেজে রূপান্তর করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। পর্যাপ্ত সংখ্যক শ্রেণিকক্ষের পাশাপাশি থাকবে আইসিটি ল্যাব, বিজ্ঞানাগার, লাইব্রেরি, মাল্টিপারপাস হলরুম, প্রধান শিক্ষকের কক্ষ, সহকারী প্রধান শিক্ষকের কক্ষ, অফিস কক্ষ, শিক্ষক কমনরুম, নামাজের কক্ষ, দর্শনার্থী কক্ষ, বিএনসিসি, গার্লস গাইড কক্ষ, প্রাথমিক চিকিৎসা কক্ষ, মিড ডে মিল কক্ষ ও সেমিনার কক্ষ।

২০১৮ সালে নেওয়া প্রকল্পটির প্রথম দফায় মেয়াদ ছিল ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত। পরে তা আরো দুই বছর বাড়িয়ে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়। সম্প্রতি যা আরো দুই বছর বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

বাংলাদেশ সময়: ১১৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৩ 
বিই/এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।