ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৪ রবিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

লাগেজে পাওয়া খণ্ডিত মরদেহ বাঁশখালীর হাসানের, স্ত্রী ও সন্তান আটক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৩
লাগেজে পাওয়া খণ্ডিত মরদেহ বাঁশখালীর হাসানের, স্ত্রী ও সন্তান আটক মো. হাসান

চট্টগ্রাম: নগরের পতেঙ্গা থানাধীন ১২ নম্বর ঘাটের কাছে সড়কের পাশে পড়ে থাকা একটি লাগেজের ভেতর থেকে উদ্ধার করা খণ্ডিত মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।  

ওই ব্যক্তির নাম মো. হাসান (৬২)।

তিনি বাঁশখালীর কাথারিয়া ইউনিয়নের বরইতলি এলাকার সাহাব মিয়ার ছেলে। মরদেহের আঙুলের ছাপ নিয়ে তার পরিচয় শনাক্ত করা হয়।

শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে নগরের ইপিজেড থানাধীন আকমল আলী রোড এলাকায় একটি বস্তা থেকে মো. হাসানের শরীরের অবশিষ্ট অংশও উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তার স্ত্রী ছেনোয়ারা বেগম ও সন্তান মোস্তাফিজুর রহমানকে আটক করেছে পিবিআই।

এর আগে বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতে লাগেজের ভেতর থেকে মরদেহের হাত-পা ও আঙুলের ৮ টুকরা খণ্ডিত অংশ  উদ্ধার করে পতেঙ্গা থানা পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা করেছিল। ঘটনা তদন্তে কাজ শুরু করে পিবিআই।

পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা বলেন, মরদেহের আঙুলের ছাপ নিয়ে নিহত ব্যক্তির পরিচয় শনাক্ত করা হয়। এরপর তার স্ত্রী ও সন্তানকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছে, মো. হাসান দীর্ঘ ২৭ বছর আলাদা ছিলেন। সম্প্রতি তিনি স্ত্রী-সন্তানের কাছে ফিরে আসেন। তবে এর আগে হাসানকে মৃত উল্লেখ করে সন্তান মোস্তাফিজুর জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করে। তিনি ফিরে আসায় সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এর জেরে গত ১৯ সেপ্টেম্বর রাতে ইপিজেড থানাধীন আকমল আলী সড়কের জমির ভিলার ৭ নম্বর বাসায় স্ত্রী ও সন্তান মিলে তাকে খুন করে। এরপর মরদেহ কেটে টুকরা টুকরা করে লাগেজ ও বস্তায় ভরে পতেঙ্গা ও আকমল আলী রোডের পাশে ফেলে দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৩ 
এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।