ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা, ২ জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২২৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ৪, ২০২৩
মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা, ২ জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড  প্রতীকী ছবি

চট্টগ্রাম: পাঁচলাইশ থানার বাদুরতলা শাহ আমানত হাউজিং সোসাইটির এলাকায় নয় বছরের এক মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে দুই আসামিকে আলাদা ধারায় দু’বার আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।  

দণ্ডিতরা হলেন, মো. জীবন (২৫) ও ইমন হাসান (২৬)।

বুধবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭-এর বিচারক ফেরদৌস আরা এ রায় দেন।

রায়ের বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেন বেঞ্চ সহকারী কফিল উদ্দিন।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৭ সালের ১৩ জুন নগরের পাঁচলাইশ থানার বাদুরতলা শাহ আমানত হাউজিং সোসাইটির বাসিন্দা মো. সোলায়মানের মেয়ে সালমা আক্তার (৯) কেনাকাটার জন্য দোকানের উদ্দেশে বাসা থেকে বের হয়। দুপুর ২টার পরও বাসায় ফিরে না যাওয়ায় খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। কিন্তু খোঁজ না মেলায় ওইদিন সন্ধ্যায় পাঁচলাইশ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন সোলায়মান। ১৪ জুন রাত পৌনে ৩টার দিকে সালমার মামা মহিউদ্দিন নঈমী মার্কেটের সামনে গেলে তার নাকে গন্ধ লাগে। বিষয়টি তিনি ভগ্নিপতি সোলায়মানকে জানান। এরপর পরিবারের সদস্যরা তিনতলা নঈমী ভবনের তৃতীয় তলায় সিঁড়িঘরের পাশে ময়লার স্তূপে কাঠের বাক্সের ভেতর থেকে প্রায় ৩৯ ঘণ্টার পর সালমার মরদেহ উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করা হয়। পুলিশ ওই বছরের ২২ জুন জীবন এবং পরদিন ইমনকে গ্রেফতার করা হয়। নিহতের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে তাকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যার প্রমাণ পাওয়া যায়। পাঁচলাইশ থানার তৎকালীন পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ ওয়ালী উদ্দিন আকবর এবং পরবর্তীতে উপ-পরিদর্শক (এসআই) পলাশ চন্দ্র ঘোষ তদন্ত করে ২০১৮ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৮ বছরের ২৫ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। রাষ্ট্রপক্ষে ১৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। আসামি পক্ষে তিনজনের সাফাই সাক্ষ্য শেষে আদালত রায় দেন।

ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি)  এম এ নাসের চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, সাক্ষ্য প্রমাণে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়া আসামি মো. জীবন ও ইমন হাসানকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ (৩) ধারায় যাবজ্জীবন (আমৃত্যু) কারাদণ্ড ও ৩ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া দণ্ডবিধির ৩০২ ধারার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আসামিদের একই দণ্ড দেন আদালত। উভয় দণ্ড একসঙ্গে চলবে। রায় ঘোষণার সময় আসামি দুইজন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাদের সাজা পরোয়ানামূলে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২২১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৪, ২০২৩
এমআই/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।