ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে সরকার কঠোর অবস্থান নিয়েছে’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩, ২০২৪
‘পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে সরকার কঠোর অবস্থান নিয়েছে’ সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. ফাহমিদা খানম।

চট্টগ্রাম: পাহাড় কাটা রোধে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছে। পাহাড় কেটে বসতবাড়ি তৈরি করলে ভারী বৃষ্টির ফলে পাহাড়ের মাটি ধসে পড়ে অনেক মানুষের মৃত্যু হয়।

এছাড়াও বিশ্বের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৩০ সালের মধ্যে বায়ো-ডাইভারসিটি ফ্রেমওয়ার্কের আওতায় পানি ও জমির ৩০ শতাংশ সংরক্ষণ করার জন্য আইন পাস করা হয়েছে। এসব বিবেচনা করে পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে সরকার কঠোর অবস্থান নিয়েছে।
 

মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. ফাহমিদা খানম পাহাড় কাটা এলাকা পরিদর্শন ও পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে অভিযানকালে এসব কথা বলেন।  

তিনি বলেন, কোনো ধরনের নদী, পুকুর, ডোবা যেমন ভরাট করা যাবে না তেমনি পাহাড়ের মাটিও কাটা যাবে না। কোনো পাহাড় ব্যক্তিমালিকানাধীন হলেও সে পাহাড়ের মাটি কাটা যাবে না।  

যারা এতদিন পাহাড় কেটে বসতবাড়ি তৈরি করেছেন তাদের আগামী সাত দিনের মধ্যে নিজ দায়িত্বে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। অন্যথায় আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদের অপসারণ করা হবে বলে জানান তিনি।  

সূত্র জানায়, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন ও থানাগুলো পুরোপুরি সক্রিয় হতে সময় লাগায় কিছু দুষ্কৃতকারী চট্টগ্রামের কয়েকটি এলাকায় রাতের আঁধারে পাহাড় কাটা শুরু করেছে। নগরের আকবর শাহ এলাকা এর মধ্যে অন্যতম। তাই অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে আকবর শাহ এলাকায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন একটি টিম অভিযান পরিচালনা করে।  

পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের পরিচালক মো. হাসান হাছিবুর রহমানসহ পরিবেশ অধিদপ্তরের বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।  

অভিযানকালে দু’জনকে পাহাড় কাটা অবস্থায় হাতে নাতে ধরা হয়। এ সময় তাদের হাতে কোদাল ও কাস্তে পাওয়া যায়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, জায়গার মালিকের নির্দেশে সবজি চাষ করার জন্য তারা পাহাড়ের মাটি কাটছে। এ সময় মোবাইল কোর্ট আইন ২০০৯ এবং পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের আওতায় অপরাধী দুজনকে জরিমানা করা হয়। এদের একজনকে ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে তিন দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং অন্যজনকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ১০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৩, ২০২৪
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।