ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বিপ্লব উদ্যানে গ্রীন পার্ক নির্মাণ করা হবে: ডা. শাহাদাত 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ৭, ২০২৪
বিপ্লব উদ্যানে গ্রীন পার্ক নির্মাণ করা হবে: ডা. শাহাদাত  ...

চট্টগ্রাম: কেন্দ্রীয় বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালোরাত্রিতে জাতি যখন দিশেহারা তখনই নেতৃত্বশূন্য জাতিকে মুক্তি দিতে এগিয়ে এসেছিলেন শহীদ জিয়াউর রহমান। এই ষোলশহর বিপ্লব উদ্যানে তিনি পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে ‘উই রিভোল্ট’ বলে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন।

কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা দিয়ে তিনি চুপ করে বসে ছিলেন না। তিনি মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছেন আবার অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করেছেন।
শেষ পর্যন্ত যুদ্ধের মাঠে থেকে দেশকে স্বাধীন করেছেন। মুক্তিযুদ্ধে জিয়াউর রহমানের ভূমিকা ইতিহাসের অংশ। এটাই ইতিহাস। কিন্তু আওয়ামী লীগ নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের বিকৃত ও মিথ্যা ইতিহাস শিখিয়েছে। বিপ্লব উদ্যানকে তারা ধ্বংস করে দিয়েছে। তাই শহীদ জিয়ার স্মৃতি বিজড়িত মুক্তিযুদ্ধের সব স্থাপনাকে সংরক্ষণ করা হবে। বিপ্লব উদ্যানের সব স্থাপনা ভেঙ্গে গ্রীন পার্ক করা হবে।  

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে নগরের ষোলশহরস্থ বিপ্লব উদ্যানে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস মহানগর বিএনপির পুষ্পস্তবক অর্পণকালে এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শহীদ জিয়াউর রহমান গার্মেন্টস সেক্টরের উদ্ভব ঘটিয়েছেন জানিয়ে ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, জিয়াউর রহমান একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে এদেশের সমৃদ্ধির প্রতিটি ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। বিদেশে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন। তিনি বাংলাদেশের গতি সঞ্চারিত করেছিলেন। তার সততা ও দেশপ্রেম ছিল সব প্রশ্নের ঊর্ধ্বে। তার সততা নিয়ে তার চরম শত্রুও কোনো প্রশ্ন তুলতে পারেনি। ২৫ মার্চের ভয়াল রাতে হানাদার বাহিনীর আক্রমণের সময়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র থেকে তিনি স্বাধীনতা ঘোষণা দিয়ে দেশবাসীর হৃদয়ে অমর হয়ে আছেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আবুল হাশেম বক্কর বলেন, স্বাধীনতাযুদ্ধের ইতিহাসের আকাশে জিয়াউর রহমান এক উজ্জল নক্ষত্র। তিনি জেড ফোর্সের অধিনায়ক ও সেক্টর কমান্ডার হিসেবে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেছেন। ব্যক্তিগত সততা ও স্বাধীনতাযুদ্ধে ঐতিহাসিক ভূমিকায় তার একটি ইতিবাচক ভাবমূর্তি তৈরি হয়েছিল জনগণের মধ্যে। তিনি প্রচলিত ধারার রাজনীতির বাইরে নতুন একটি রাজনৈতিক তত্ত্ব মানুষের সামনে হাজির করেন। জনগণ তার সে রাজনীতিকে গ্রহণ করেছিল। তার ১৯ দফা কর্মসূচিকে এদেশের মানুষ তাদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক মুক্তির পথনির্দেশক বলেই গ্রহণ করেছিল।

ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেন, ভিন দেশের আধিপত্য মোকাবেলায় ৭ নভেম্বরের চেতনা ধারণ করতে হবে। ৭১ এর স্বাধীনতা যুদ্ধে এ দেশের মাটি ও মানুষকে মুক্ত করতে জিয়াউর রহমানের যুগ শ্রেষ্ঠ ভূমিকার কথা স্মরণ করে এদেশের সিপাহি জনতা ৭৫ এর ৭ নভেম্বর জিয়াউর রহমানকে বন্দিদশা থেকে মুক্ত করে ক্ষমতার কেন্দ্রে নিয়ে এসেছিল।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব নাজিমুর রহমানের পরিচালনায়  সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এমএ আজিজ, সৈয়দ আজম উদ্দিন, এস এম সাইফুল আলম, কাজী বেলাল উদ্দিন, শফিকুর রহমান স্বপন, নিয়াজ মোহাম্মদ খান, শাহ আলম, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, শওকত আজম খাজা, শিহাব উদ্দিন মোবিন, মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ইকবাল চৌধুরী, এমএ হান্নান, মুজিবুল হক, মোহাম্মদ মহসিন, মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, কামরুল ইসলাম, মশিউল আলম স্বপন, শিহাব উদ্দিন আলম, মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, জাফর আহমেদ, একে খান, মাহবুব রানা, নুর উদ্দিন হোসেন নুরু, হানিফ সওদাগর, মোহাম্মদ আজম, ইসমাইল বালি, আশরাফুল ইসলাম, মোহাম্মদ ইউসুফ প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ৭, ২০২৪
এমআই/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।