ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৮ মাঘ ১৪৩১, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১ শাবান ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

আমাদের সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ: মহিউদ্দিন 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৫
আমাদের সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ: মহিউদ্দিন 

চট্টগ্রাম: বিশ্বের শক্তিধর রাষ্ট্রগুলো পাল্টাপাল্টি শুল্কারোপের কারণে তৈরি পোশাক শিল্পের ক্রেতারা অবস্থান পরিবর্তন শুরু করেছেন উল্লেখ করে বিজিএমইএর সহায়ক কমিটির সদস্য এমডিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, আমাদের সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ। চ্যালেঞ্জগুলো সম্ভাবনায় রূপান্তর করা গেলে রপ্তানি বাণিজ্যের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতির উন্নয়ন সম্ভব।

আমাদের প্রতিযোগী দেশগুলো এই সুযোগটুকু কাজে লাগাতে প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আমরাও চাই ক্রেতারা আমাদের দেশকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করুক, এ ক্ষেত্রে প্রয়োজন যুগোপযোগী নীতিমালা প্রণয়ন ও হয়রানিবিহীন নীতি সহায়তা, যা কাস্টমসের ওপর অনেকাশেংই নির্ভরশীল।
 

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) এমডিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বে সংগঠনটির নেতারা চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার মোহাম্মদ জাকির হোসেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এসব কথা বলেন।  

এমডিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্পের পণ্য আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে কাস্টমস ব্যাপক ভূমিকা রেখে আসছে। দেশের রপ্তানি আয়ের সিংহভাগ (৮১ দশমিক ২৯ শতাংশ) আসে তৈরি পোশাক শিল্প থেকে। এ শিল্পের মাধ্যমে দেশের যতটুকু উন্নয়ন সাধিত হয়েছে তার গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার কাস্টমস হাউস কর্তৃপক্ষ। অতীতেও কাস্টমস ও বিজিএমইএ আলোচনার মাধ্যমে অনেক সমস্যার সমাধান করেছে।  

তিনি বলেন, জাতীয় স্বার্থে রপ্তানি লিড টাইম রক্ষায় উক্ত কাস্টমস হাউসের ২০১৬ সালের আদেশ নম্বর- ১৯০ ও ১৯৪ বাতিল পূর্বক পোশাক শিল্পের এলসি ভিত্তিক ও এফওসি ভিত্তিক আমদানিতে একই পদ্ধতিতে জরুরি নির্দেশনাসহ সব পোশাক শিল্পের কাঁচামাল আমদানির জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের একটি আদেশ জরুরি।  

বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক এএম মাহাবুব চৌধুরী বন্দর জেটিতে পণ্য পরীক্ষণে জটিলতা পরিহার ও ওভেন কাপড় খালাসকালে কেজির পাশাপাশি মিটার / গজ উল্লেখের অপশন চালু করা ও বিল অব এক্সপোর্ট বাতিল করার কার্যক্রম ত্বরান্বিতকরণের ওপরে গুরুত্ব দেন।  

বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক অঞ্জন শেখর দাশ পোশাক শিল্পের আমদানি পণ্য চালান খালাসে ফার্স্ট অ্যাপরেচমেন্ট দেওয়া বন্ধকরণ ও শর্টশিপমেন্ট সংক্রান্ত সমস্যা তুলে ধরেন।  

বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক সাইফ উল্লাহ মনসুর কিছু শিপিং লাইনের জালিয়াতির বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানান।

কাস্টম হাউসের কমিশনার মোহাম্মদ জাকির হোসেন বলেন, জাতীয় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন ও কর্মসংস্থানে পোশাক শিল্পের অবদান অনস্বীকার্য।  

তিনি পোশাক শিল্পের আমদানি চালান দ্রুত খালাস ও রপ্তানি যথাসময়ে সম্পাদনে কার্যক্রম সহজীকরণ এবং পোশাক শিল্পের আমদানি-রপ্তানি সংক্রান্ত বিরাজমান সমস্যা পারস্পরিক আলোচনা ও সহযোগিতার মাধ্যমে দ্রুত সুরাহাসহ রপ্তানির প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রাখার আশ্বাস দেন।  

বাংলাদেশ সময়: ২১০৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৫
এআর/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।