চট্টগ্রাম: ইন্টারনেট বন্ধ, রাজনৈতিক টালমাটাল অবস্থা আর ডলার সংকটের কারণে অর্থবছরের শুরুতে কয়েকমাস চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা হোঁচট খেলেও বর্তমানে গতি পেয়েছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৫৫ হাজার ৪১৯ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে চট্টগ্রাম কাস্টমস আদায় করেছে ৪৮ হাজার ২৭১ কোটি টাকা।
২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে দেশের সবচেয়ে বেশি রাজস্ব আহরণকারী এ প্রতিষ্ঠানে ৬ হাজার ৪৪০ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৬ হাজার ১৫২ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের উপ-কমিশনার মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম বলেন, গোয়েন্দা নজরদারি ও বন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের কারণে কমেছে অনিয়ম। যথাযথ শুল্ক আইন মেনেই কার্যক্রম চলছে। এতে বাড়ছে রাজস্ব আয়ের পরিমাণও।
চট্টগ্রাম সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এসএম সাইফুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থান, ভয়াবহ বন্যা, ডলার সংকটসহ নানা কারণে আমদানি কম হয়েছিল। এখন রেমিট্যান্স প্রবাহ উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় ডলার সংকট কমেছে। ব্যাংকগুলো আমদানি ঋণপত্র (এলসি) খুলছে, সরকার নিত্যপণ্যে শুল্ক ছাড় দিয়ে আমদানিতে উৎসাহিত করছে। একই সঙ্গে কাস্টম হাউস তথা এনবিআরের নজরদারির কারণে শুল্কফাঁকি একপ্রকার বন্ধ হয়ে গেছে। স্বাভাবিকভাবেই রাজস্ব আদায় বাড়ছে কাস্টম হাউসে। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা থাকলে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা সময়ের ব্যাপার মাত্র।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৬৮ হাজার ৮৬৬ কোটি ৫৪ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় করতে সক্ষম হয়েছিল চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস। দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর দিয়ে আমদানি, রপ্তানি পণ্যের ওপর নির্ধারিত শুল্কহারে রাজস্ব আহরণ করে কাস্টমস। এর আগে ২০২০–২১ অর্থবছরে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস ৫১ হাজার কোটি, ২০২১–২২ অর্থবছরের ৫৯ হাজার ১৫৯ কোটি টাকা এবং ২০২২–২৩ অর্থবছরে ৬১ হাজার ৬৩৩ কোটি টাকা রাজস্ব আহরণ করেছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৬ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০২৫
এআর/টিসি