ঢাকা, বুধবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩২, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজে দুই উপদেষ্টা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০২৫
সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজে দুই উপদেষ্টা ...

চট্টগ্রাম: দেড়শ’ সুবিধাবঞ্চিত শিশুর সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজে অংশ নিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, ত্রাণ ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বীরপ্রতীক এবং মহিলা, শিশু বিষয়ক ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ।  

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) একটি নিরাপদ আশ্রয় ও সুন্দর ভবিষ্যৎ সব শিশুর অধিকার- প্রতিপাদ্য নিয়ে পথশিশুদের সমাজ ও রাষ্ট্রের মূলধারায় ফেরাতে করণীয় বিষয়ে আলোচনা সভা উপলক্ষে এ মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করা হয়।

 

নগরের মেট্রোপলিটন শুটিং ক্লাবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা ফারুক ই আজম  বলেন, সমাজের একটি শ্রেণিকে বঞ্চিত রেখে সুন্দর সমাজ গঠন সম্ভব নয়। আজকের এ আয়োজনের কারণে তারা আমাদের সঙ্গে মিশতে পেরেছে, মনের অনুভূতি প্রকাশ  করতে পেরেছে।

 আমরা চাই তাদের হৃদয়ের উত্তাপে আপন করে নিতে। কারণ আমরা সবাই এদেশের মানুষ, মৌলিক অধিকার পাওয়ার অধিকার আমাদের সবার। সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার নিশ্চিতে সরকারও বদ্ধপরিকর। শিক্ষা, খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার মাধ্যমে তাদের সমাজের সঙ্গে আরো বেশি সম্পৃক্ত করতে হবে।

উপদেষ্টা  কবিতার পঙতি উল্লেখ করে বলেন, ‘আমি যারে পশ্চাতে রেখে এসেছি, সে আমারে পশ্চাতে টানিছে’। সমাজ যাদের হাতে নিরাপদ হবে, যাদের হাতে সবলীল থাকবে, যাদের দ্বারা সমাজ প্রস্ফুটিত হবে তাদের আমরা পেছনে ফেলে এসেছি। তাদের জন্য না রেখেছি খেলাধুলার সুযোগ ও স্নেহ-ভালোবাসা, না রেখেছি জীবিকা সহায়ক আয়োজন। সমাজের এ পরিত্যাজ্যতা পথশিশুদের মনে সংক্ষুব্ধতা তৈরি করেছে বলে আমি মনে করি। যখন তারা প্রতিবাদী হয়েছে বা অপরাধের সঙ্গে জড়িত হয়েছে, পুলিশ আইন-শৃঙ্খলার প্রেক্ষাপট দেখিয়ে তাদের সংযত করার চেষ্টা করেছে। তাই আমি মনে করেছি, প্রথমে পুলিশকেই তাদের হৃদয়ের কাছাকাছি পৌঁছাতে হবে। তবেই তাদের প্রাথমিক ভীতি কেটে যাবে, তারা যে সমাজের মূলস্রোতে সম্পৃক্ত সেটা অনুধাবন করতে সক্ষম হবে। তবেই সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব হবে।  

বিশেষ অতিথি উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেন, যে দেশ শিশুদের সুরক্ষিত রাখতে পারে না, সে দেশকে আমরা সফল বলতে পারি না। আমার দৃষ্টিতে বাংলাদেশ হতে হবে শিশুদের জন্য।  

তিনি বলেন, দরিদ্র শিশুদের বিনামূল্যে সরকারি স্কুলে শিক্ষা, বসবাসের জায়গা করে দেওয়া, সুস্বাস্থ্যের জন্য চিকিৎসার ব্যবস্থা করা এবং তাদের জীবনমান উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সরকারের পাশাপাশি এলাকার কমিউনিটির মাধ্যমে সবাইকে সম্মিলিতভাবে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে। তাহলে সারা পৃথিবী জানবে বাচ্চারা নিরাপদ, বাচ্চারা সুস্থ এবং বাচ্চারা গড়ে উঠেছে একটি দায়িত্বশীল পরিমণ্ডলে।  

মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজের সভাপতিত্বে চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন, বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দীন, ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শামছুল আলম, চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি আহসান হাবীব পলাশ, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী নুরুল করিম, দৈনিক আজাদী সম্পাদক এমএ মালেক বক্তব্য দেন।  

পরে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের উপহার তুলে দেন উপদেষ্টাসহ অতিথিরা।  

বাংলাদেশ সময়: ২০১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০২৫
এআর/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।