ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ১০ জুন ২০২৫, ১৩ জিলহজ ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ঈদ আনন্দে জমজমাট চট্টগ্রামের বিনোদনকেন্দ্র

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫:৪৭, জুন ৮, ২০২৫
ঈদ আনন্দে জমজমাট চট্টগ্রামের বিনোদনকেন্দ্র ...

চট্টগ্রাম: ঈদে এবার লম্বা ছুটি। অনেকে চলে গেছেন গ্রামের বাড়ি।

তাই একরকম ফাঁকা বন্দরনগরী চট্টগ্রাম। যারা শহরেই রয়ে গেছেন, অনেকেই কোরবানির ঈদের দিন পরিবার নিয়ে বের হতে পারেন না।
তাই ঈদের পরদিন থেকেই পরিবার পরিজন নিয়ে বেড়াতে যান নগরের বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে।  

রোববার (৮ জুন) দুপুর থেকেই বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে ভিড় বাড়তে থাকে। নগরের পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত, চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা, ফয়’স লেক অ্যামিউজমেন্ট পার্ক ও ওয়াটার পার্ক সি ওয়ার্ল্ড, পতেঙ্গা প্রজাপতি পার্ক, ডিসি পার্ক, কর্ণফুলী নদীর অভয়মিত্র ঘাট, আগ্রাবাদ জাম্বুরি মাঠ, জাতিসংঘ পার্ক (জুলাই স্মৃতি উদ্যান), হালিশহর সাগর পাড় ছাড়াও সীতাকুণ্ডের গুলিয়াখালী সাগরপাড়, মীরসরাইয়ে মহামায়া লেক, আনোয়ারায় পারকি সমুদ্র সৈকত, ফটিকছড়ি চা বাগানে ভিড় জমে দর্শনার্থীদের। যারা বেশি দূরে যেতে চান না, তারা আড্ডায় মশগুল থাকেন সিআরবি কিংবা ডিসি হিলে।

সকাল থেকেই পতেঙ্গা সৈকতে মানুষের ঢল নামে। ঘোড়ার পিঠে ঈদের আনন্দে মেতে উঠেন সববয়সী মানুষ। পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের পাশাপাশি ভিড় দেখা গেছে এয়ারপোর্ট থেকে নেভাল পর্যন্ত সড়কে। পতেঙ্গা সৈকতে কেউ সমুদ্রের পানিতে গা ভাসাচ্ছেন। কেউবা সমুদ্রের পাড়ে বসে গান গেয়ে আনন্দ মেতেছেন।

সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে আসা পারভেজ বলেন, সাগরের বিশুদ্ধ বাতাস মনে প্রশান্তি আনে। তাই পরিবার নিয়ে এসেছি বেড়াতে।  

ফয়’স লেক এলাকায় চিড়িয়াখানায় উপস্থিতি ছিল লক্ষ্যণীয়। চট্টগ্রামের চিড়িয়াখানায় সাদা বাঘ থেকে শুরু করে সিংহ, বানর, হনুমান ও বিভিন্ন প্রজাতির হরিণসহ পশুপাখি দেখতে শিশু-কিশোরদের সঙ্গে এসেছেন বয়স্করাও। পাশাপাশি পাহাড়ের মাঝখানে থাকা রাইডগুলোতে চড়ে আনন্দ উপভোগ করছে শিশুরা।

অপরদিকে ফয়’স লেক এলাকার কনকর্ড এমিউজমেন্ট পার্ক ও ওয়াটার পার্ক নগরের বাসিন্দাদের অন্যতম প্রধান বিনোদনকেন্দ্র। এখানে আসা দর্শনার্থীদের প্রথম পছন্দ মনোরম লেক ভ্রমণ। তরুণ প্রজন্মের পছন্দ ওয়াটার পার্ক সি ওয়ার্ল্ড। এখানে জল উৎসবে মেতে ওঠেন দর্শনার্থীরা।

সীতাকুণ্ডের গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকতজুড়ে কেউ যেন বিছিয়ে রেখেছে সবুজ ঘাসের গালিচা। ঈদে বেড়াতে সেখানেও যাচ্ছে মানুষ। সৈকতে আছে দর্শনার্থীদের জন্য ওয়াশ ব্লক, রয়েছে দোকানপাটও। সৈকতের পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে বোটানিক্যাল গার্ডেন ও ইকোপার্কের সহস্রধারা ও সুপ্তধারা নামে দুটি ঝরনা। পর্যটকেরা সেখানেও ভিড় জমাচ্ছেন।

বিই/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।