ঢাকা, মঙ্গলবার, ৪ আষাঢ় ১৪৩২, ১৭ জুন ২০২৫, ২০ জিলহজ ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ফিশারি ঘাটে আসছে ট্রলারভর্তি সামুদ্রিক মাছ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২:৩৬, জুন ১৬, ২০২৫
ফিশারি ঘাটে আসছে ট্রলারভর্তি সামুদ্রিক মাছ ...

চট্টগ্রাম: নিষেধাজ্ঞা শেষে মাছ ধরতে যাওয়া জেলেরা কর্ণফুলী নদীর তীরে গড়ে ওঠা ফিশারি ঘাটে ভিড়ছেন ট্রলারভর্তি সামুদ্রিক মাছ নিয়ে। তবে পর্যাপ্ত বড় মাছ না পাওয়ায় তারা হতাশ।

মৎস্য কর্মকর্তারা বলছেন, ইলিশসহ বড় মাছ ধরা পড়তে পারে আরও কিছুদিন পর।

মাছের বংশবিস্তার ও বেড়ে ওঠার জন্য বঙ্গোপসাগরে সব ধরনের মাছ ধরার ওপর ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হয় ১১ জুন মধ্যরাতে।

গত ১৫ এপ্রিল থেকে ৫৮ দিন সব ধরনের মাছ ধরা, পরিবহন ও সংরক্ষণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল সরকার। এরপর জেলেরা ১২ জুন সাগরে যায়।

জেলেরা বলছেন, সাগর এখন উত্তাল। এক সপ্তাহের প্রস্তুতি নিয়ে গেলেও মাছ ধরা সম্ভব হচ্ছে না। গত তিনদিনে কিছু ছোট সামুদ্রিক মাছ ধরা পড়েছে। সেগুলো নিয়ে কূলে ফিরে এসেছেন। বেশি পাওয়া গেছে লইট্টা মাছ। এছাড়া চিংড়ি, রুপচাঁদা, ছুরি, ফাইস্যা ও পোয়া মাছ ধরা পড়েছে। ইলিশ পাওয়া গেছে খুব কম।

ফিরিঙ্গীবাজার ফিশারি ঘাটের বয়স ২শ বছরের বেশি। এ ঘাটে মাছ বোঝাই ট্রলার ভিড়লেই শুরু হয়ে যায় হাঁকডাক। ঘাটে হামলে পড়েন মাছ ব্যবসায়ীরা, শুরু হয় বিকিকিনির ধুম। নিলামে তোলার পর এখান থেকে মাছ যায় আড়তে। পরে সেই মাছ সরবরাহ করা হয় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে।

সোমবার (১৬ জুন) সকালে ফিশারি ঘাটে আসা কয়েকটি ট্রলারের জেলেদের সাথে কথা হয়। তারা জানান, কাঙ্ক্ষিত মাছ পাওয়া যায়নি। কয়েকদিন পর আবারও সাগরে যাবেন বড় মাছের সন্ধানে। ছোট ১০-১৫ প্রজাতির মাছ মিলেছে। দামও ভালো পাচ্ছেন।  

নতুন ফিশারি ঘাটে আড়ত রয়েছে প্রায় ২২০টি। অপরদিকে পুরনো ফিশারি ঘাটে রয়েছে ৬৮টি আড়ত। আড়তদাররা বলছেন, গত ৪ দিনে প্রায় ১ হাজার কেজি সামুদ্রিক মাছ এসেছে। এর মধ্যে ৩০০ থেকে ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ এসেছে ২০ শতাংশ।

চট্টগ্রাম জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শ্রীবাস চন্দ্র চন্দ বলেন, সাগরে মাছের উৎপাদন ও প্রজনন বাড়াতে মাছ ধরায় ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা থাকায় জেলেরাই এখন লাভবান হবেন। বর্তমানে ছোট মাছ আসছে বেশি। বড় মাছের জন্য আরও কয়েকদিন অপেক্ষা করতে হবে।  

এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।