ঢাকা, রবিবার, ২৬ শ্রাবণ ১৪৩২, ১০ আগস্ট ২০২৫, ১৫ সফর ১৪৪৭

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘নতুন বাংলাদেশ গড়তে বিভাজনের রাজনীতি থেকে দূরে থাকতে হবে’

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯:১৭, আগস্ট ১০, ২০২৫
‘নতুন বাংলাদেশ গড়তে বিভাজনের রাজনীতি থেকে দূরে থাকতে হবে’ ...

চট্টগ্রাম: চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, বিভাজনের রাজনীতি বাদ দিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও মানুষের মৌলিক অধিকার রক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। বিগত এক বছরের প্রাপ্তি বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, মূলত বিভাজনের রাজনীতির কারণে আমরা কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারিনি।

যদি আমরা ঐক্যবদ্ধতার রাজনীতিতে আসতে পারি, তাহলে শহীদদের রক্তদান বৃথা যাবে না। তাই নতুন বাংলাদেশ গড়তে বিভাজনের রাজনীতি থেকে দূরে থাকতে হবে।
ঐক্যবদ্ধ থেকে আমরা নতুন বাংলাদেশ সৃষ্টি করতে চাই, যেখানে মানুষ তাদের সব অধিকার ফিরে পাবে।  

শনিবার (৯ আগস্ট) রাতে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (আইইবি) চট্টগ্রাম কেন্দ্রের উদ্যোগে জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র এসব কথা বলেন।  

অনুষ্ঠানে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত যোদ্ধাদের আর্থিক সহায়তা এবং এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ প্রাপ্ত প্রকৌশলী সন্তানদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এরপর আওয়ামী দুঃশাসন ও জুলাই আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের ওপর নির্মিত ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।  

আইইবি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মনজারে খোরশেদ আলমের সভাপতিত্বে ও সন্মানী সম্পাদক প্রকৌশলী খান মো. আমিনুর রহমানের পরিচালনায় প্রধান আলোচক ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এ্যাব) চট্টগ্রাম শাখার সভাপতি সেলিম মো. জানে আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী নুরুল করিম।  

মেয়র বলেন, বিভিন্ন ইস্যুতে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতভেদ থাকবে, কিন্তু সেই ভিন্নমত নিরসনে আলোচনা হবে। তবে জাতীয় কোনো ইস্যুতে গণতন্ত্রের পক্ষে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যাতে মুখ দেখাদেখি বন্ধ না হয়, সেই লক্ষ্যে জাতীয় স্বার্থে সবার ঐক্যবদ্ধ থাকা প্রয়োজন। গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তিগুলোর মধ্যে আমরা যে যেই দলই করিনা কেন আমাদের দেশের স্বার্থের জায়গায় ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। জাতিকে রক্ষা করতে হবে বিভাজনের হাত থেকে।

তিনি বলেন, ২০০৭ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত ১৮ বছর মানুষ তাদের গণতান্ত্রিক ও মৌলিক অধিকারের জন্য সংগ্রাম করেছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, সাম্যতা, ন্যায়বিচার, মানবিক মর্যাদা এবং নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের মতোই আজকের এই গণঅভ্যুত্থান দিবস সেই সংগ্রামের প্রতীক। বাংলাদেশ সৃষ্টির পর থেকে এখন পর্যন্ত, ৫৫ বছরে এসেও আমরা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছি। জুলাই আন্দোলনের শহীদরা তাজা রক্ত দিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছেন। গত ১৬ বছরে বিএনপির অসংখ্য নেতাকর্মী গুম হয়েছেন, হত্যার শিকার হয়েছেন, নির্যাতিত হয়েছেন। পাশাপাশি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামসহ গণতন্ত্রকামী অনেক দলের নেতাকর্মীরা রাজপথে তাজা প্রাণ দিয়েছেন, বছরের পর বছর জেল জুলুম সহ্য করেছেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন আইইবির ভাইস চেয়ারম্যান প্রকৌশলী খান মন্জুর মোর্শেদ, শেখ আল আমিন, নিয়াজ উদ্দিন ভূইয়া, এটিএম তানভীর উল হাসান তমাল, আইইবি ঢাকা কেন্দ্রের সন্মানী সম্পাদক কেএম আসাদুজ্জামান চুন্নু, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সদস্যসচিব জাহিদুল করিম কচি, বেসরকারি হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. একেএম ফজলুল হক, এফইবি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. তাজুল ইসলাম।  

স্বাগত বক্তব্য দেন আইইবি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের ভাইস চেয়ারম্যান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন আইইবি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের ভাইস চেয়ারম্যান প্রকৌশলী সাখাওয়াত হোসেন। বক্তব্য দেন আইইবি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের সহ সন্মানী সম্পাদক প্রকৌশলী মো. কামরুজ্জামান, প্রকৌশলী মো. দুলাল হোসেন, মো. কামাল উদ্দিন, মো. আবু জাফর, জাহাঙ্গীর আলম, মো. আহসানুল রাসেল, সাব্বির আহমেদ উসমানী, আবদুল্লাহ আল মামুন, ইমাদুল হক শাহীন, রেজাউল হায়াত খান, মো. লোকমান, মো. শাহে আরেফীন, চুয়েট শিক্ষার্থী আসিফ মিরাজ, জুলাই আহত যোদ্ধা এনামুল হক প্রমুখ।  

এআর/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।