ঢাকা, রবিবার, ১৩ আশ্বিন ১৪৩২, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫ রবিউস সানি ১৪৪৭

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

১৬ লাখ টন চাল মজুত আছে: খাদ্য উপদেষ্টা 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১:৫০, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২৫
১৬ লাখ টন চাল মজুত আছে: খাদ্য উপদেষ্টা  খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার

চট্টগ্রাম: এখনো প্রায় ১৬ লাখ টন চাল মজুদ আছে জানিয়ে খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেছেন, গম মজুত আছে প্রায় ১ লাখ টনের মতো। গমবাহী একটি জাহাজ বর্তমানে কুতুবদিয়া বহির্নোঙরে খালাসের জন্য অপেক্ষমাণ আছে।

আমেরিকা এবং রাশিয়া থেকে দুটি জাহাজ আসছে। আমেরিকা থেকে গম কেনার জন্য আরও চুক্তি করা হচ্ছে।

শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউস সম্মেলন কক্ষে খাদ্যবান্ধব এবং ওএমএস কর্মসূচি বিষয়ক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, আমাদের একটা পরিকল্পনা আছে। আমরা যতদিন থাকবো ততদিন দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কাজ করব। আগামী মধ্য ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের পর অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব ছেড়ে যাওয়ার আগে সে সময়ে যে পরিমাণ খাদ্য মজুদ থাকা উচিত এর চেয়ে বেশি ছাড়া কম রেখে যাব না। পর্যাপ্ত খাদ্য মজুদ রেখেই আমরা যাব এবং সেভাবেই আমরা পরিকল্পনা সাজাচ্ছি।

বর্তমানে চালের দাম স্থিতিশীল আছে জানিয়ে উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেন, একপর্যায়ে চালের দাম বেড়েছিল, সেটা কমানোর জন্য সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি ৫০ লাখ থেকে বাড়িয়ে বর্তমানে ৫৫ লাখ পরিবারকে প্র্রতিমাসে ৩০ কেজি করে চাল দেওয়া হচ্ছে। আগে এ কর্মসূচি শুরু হতো সেপ্টেম্বর থেকে ৫মাস। এখন শুরু হয়েছে আগস্ট থেকে ৬ মাস। এটার মূল উদ্দেশ্যটা হচ্ছে এ মানুষগুলো তো বাজারে চাল কিনতে যাবে না। এতে বাজারে সরবরাহটা বাড়লো এবং দামের ওপর প্রভাব পড়বে। আমরা লক্ষ্য করছি সেই প্রভাবটা অলরেডি পড়েছে। দামটা আরও কমলে আমিও খুশি হতাম আপনারাও খুশি হতেন। কিন্তু যারা চাল উৎপাদন করেন তাদের আক্ষেপ আছে, তারা ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে না। সেদিকটাও আমাদের দেখতে হবে।

আসন্ন নভেম্বরের শেষ দিকে আমন সংগ্রহ অভিযান শুরু হবে জানিয়ে খাদ্য উপদেষ্টা বলেন, আমরা কিন্তু গত বোরো মৌসুমে আগেরবারের চেয়ে দাম ৪ টাকা বাড়িয়েছি। সামনে আমন মৌসুমেও কৃষককে ইনসেনটিভ দেওয়ার জন্য সরকার কাজ করছে। প্রাকৃতিক বিপর্যয় যদি না ঘটে এবং ভালো ফলন যদি হয় আমন মৌসুমে আমরা সর্বোচ্চ পরিমাণে ধান চাল কেনার চেষ্টা করব। চালটা যাতে কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি সংগ্রহ করা যায়, সেজন্য আমাদের নীতিমালায় কোনো বিচ্যুতি আছে কিনা সেটা আমরা পুনরায় বিবেচনা করবো।  

উদ্বৃত্ত চালের মজুত থাকা সত্ত্বেও সিন্ডিকেটের কাছে বাজার জিম্মি কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, অবৈধ মজুত দুই প্রকার হতে পারে, একটা হচ্ছে যদি লাইসেন্স না থাকে, এটাকে ধরা আইনত দায়িত্ব। আরেকটা হচ্ছে লাইসেন্স আছে, কিন্তু তার কতটুকু মজুত করার ক্ষমতা আছে সেটা নির্ধারণ করা আছে। এর বাইরে যদি মজুত করে সেটা ধরাও দায়িত্ব। এ ধরনের বাজার অস্থিতিশীল করার জন্য কেউ যদি অবৈধভাবে মজুত করে আমাদের জানাবেন, আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

বাজারে খাদ্য কিনতে মানুষের ৭০ শতাংশ টাকা ব্যয় হচ্ছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, প্রকৃতির সঙ্গে উৎপাদনের একটা সম্পর্ক আছে। এবার দেখেন সবজির দাম বেশি, ৮০ টাকার নিচে তেমন নেই। এটার কারণ হচ্ছে এবারের বৃষ্টিটা কিন্তু অনিয়মিতভাবে হচ্ছে। বৃষ্টি হলে কিন্তু শীতকালীন সবজি সব নষ্ট হয়ে যায়। এরপরও এখানে প্রশাসনের লোকজন আছেন, তারা যাতে বাজার মনিটরিংটা সঠিকভাবে করা হয়, যাতে সিন্ডিকেট বা চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অজুহাতে দাম বাড়াতে না পারে সেদিকে নজর দিতে হবে।  

চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবুল হাসনাত হুমায়ুন কবীর বিশেষ অতিথি ছিলেন।  

এআর/টিসি/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

চট্টগ্রাম প্রতিদিন এর সর্বশেষ