ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামে পুলিশ-সন্ত্রাসী বন্দুকযুদ্ধ, আহত ৩

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৪
চট্টগ্রামে পুলিশ-সন্ত্রাসী বন্দুকযুদ্ধ, আহত ৩ ছবি:বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম নগরীর কোতয়ালী থানার সিআরবি এলাকায় দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী আরসেল ওরফে আজরাইল বাহিনীর সঙ্গে নগর গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যদের বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে। এতে আরসেল ও দু’পুলিশ সদস্যসহ তিনজন আহত হয়েছেন।



শুক্রবার রাত ১২টার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের পর পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশী বন্দুক, একটি ছোরা ও পাঁচ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করেছে।


আরসেল চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নওশের আলী খানের বাসভবনে নিরাপত্তারক্ষী কনস্টেবল কাইয়ূম খুনের প্রধান আসামী। গত নভেম্বরে সংঘটিত এ নৃশংস ঘটনাটি চট্টগ্রাম ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছিল।

নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) বাবুল আক্তার বাংলানিউজকে বলেন, পুলিশ খুনের ঘটনার পর থেকেই আমরা আরসেলকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু সম্প্রতি সে আবারও এলাকায় ফিরে তার বাহিনীকে সংঘটিত করে বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড শুরুর প্রস্তুতি নিচ্ছিল। আমরা তাকে গ্রেপ্তার করতে গেলে তার বাহিনী আমাদের উপর হামলা চালায়। এতে পুলিশও পাল্টা গুলি চালাতে বাধ্য হয়।

আরসেল বাহিনীকে মোকাবেলায় পুলিশকে ১১ রাউণ্ড শটগানের গুলি ছুঁড়তে হয়েছে বলে জানান এডিসি বাবুল আক্তার। সংঘর্ষে আহত পুলিশ কনস্টেবল কাদের মোস্তফা ও হামিদ শরীফকে চট্টগ্রাম বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতালে এবং আহত সন্ত্রাসী আরসেলকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলেও জানান বাবুল আক্তার।

উল্লেখ্য পুলিশ কনস্টেবল কাইয়ুম খুনের মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া সোহেল ও মিন্টু স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে
জানিয়েছিল, ছিনতাইয়ে বাধা দেয়ায় আরসেল কাটনি জাতীয় এক বিশেষ ধরনের কিরিচ দিয়ে কাইয়ূমকে গলায় এলোপাতাড়ি কুপিয়ে নৃশংসভাবে খুন করে।

গত ৫ নভেম্বর নগরীর মতিঝর্ণা এলাকার একটি বাসা থেকে মামলার এজাহারভুক্ত আসামি সোহেলকে এবং পরদিন নগরীর ডিসি হিল থেকে মিন্টু দাসকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরিসহ গ্রেপ্তার করে নগর গোয়েন্দা পুলিশ। এরপর ৯ নভেম্বর ভোরে আরেক আসামী সুমন খুলশী থানার আমবাগান তুলাতলী এলাকায় ডিবি পুলিশের সাথে গুলি বিনিময়ে আহত অবস্থায় গ্রেপ্তার হয়।

এর আগে গত ৩ নভেম্বর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নগরীর টাইগার পাস এলাকায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে খুন হন পুলিশ কনস্টেবল আব্দুল কাইয়ুম। আহত হন আরো তিন পুলিশ সদস্য। এ ঘটনায় ডিআইজি নওশের আলী খানের বাসার গার্ড ইনচার্জ সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আসাদুজ্জামান বাদী হয়ে একটি
মামলা দায়ের করেন। মামলায় ১১ জনের নাম উল্লেখ করে আরো ৮ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে দন্ডবিধির ৩৯৬ ধারায় খুনসহ ডাকাতির অভিযোগ আনা হয়েছে।

মামলার আসামিরা হল-সুমন, আরসেল, মিন্টু, বাবুল, হাসান, নিজাম, সোহেল, তপন, নুর আলম, জাবেদ ও হারুন।


বাংলাদেশ সময়: ১০৫৭ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৪
সম্পাদনা: তপন চক্রবর্তী, ব্যুরো এডিটর।

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।