ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ক্রীড়াঙ্গনের চারণভূমি হবে চট্টগ্রাম

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০১৪
ক্রীড়াঙ্গনের চারণভূমি হবে চট্টগ্রাম ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম: নগরীর যেসব মাঠ অযত্নে অবহেলায় পড়ে আছে, মাঠগুলো সংস্কার করে সংরক্ষণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়।

মন্ত্রীসভার সদস্য হিসেবে শপথ নেয়ার পর চট্টগ্রামে প্রথমবারের মত সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে চট্টগ্রামের ক্রীড়াঙ্গনের উন্নয়নে বিভিন্ন পরিকল্পনা তুলে ধরেন আরিফ খান জয়।



রোববার বিকালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আয়োজিত এ মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক ও চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থা’র(সিজেকেএস) সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব সভাপতি ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সহ সভাপতি আলী আব্বাস।

এর আগে নগর ভবনে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন মেয়র এম মনজুর আলমের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেন উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়।
পরে সার্কিট হাউস ক্রীড়া সংগঠকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি।

মতবিনিময় সভায় নিজেকে চট্টগ্রামের ক্রীড়াঙ্গনের প্রতিনিধি উল্লেখ করে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী আরিফ খান জয় বলেন, ‘চট্টগ্রামের ক্লাবগুলো বার বার খেলতে দিয়ে আমাকে সমৃদ্ধ করেছে। দেশের তথা বিশেষ করে চট্টগ্রামের ক্রীড়াঙ্গনের উন্নয়নে সবটুকু উজাড় করে দিয়ে কাজ করার চেষ্টা করবো। সে জন্যই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিয়েই প্রথমেই চট্টগ্রামে চলে আসি। ’

তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম শুধু বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে নয়, আগামী দিনে ক্রীড়াঙ্গনের চারণভূমি হিসেবে পরিচিতি পাবে। ’

তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রামের চারটি অঞ্চলে চারটি মাঠ তৈরি করা হবে। যদি নিজস্ব জায়গা না থাকে তাহলে রেলওয়ে জায়গায় কিংবা সরকারিভাবে জায়গা অধিগ্রহণ করে হলেও মাঠ তৈরি করা হবে। যেখানে শুধু খেলাধুলার জন্য ব্যবহার হবে অন্য কোন কিছু হতে পারবে না। ’

জাতীয় দলের সাবেক এ ফুটবলার বলেন, ‘মাঠগুলো ভরাট করে এখন শুধু অট্টালিকা তৈরি হচ্ছে। আগামী প্রজন্মের খেলোয়াড় তৈরির জন্য মাঠের কোন বিকল্প নেই। ’

তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়রের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি আমাকে চট্টগ্রামের সবগুলো মাঠের একটি তালিকা পাঠাবে বলেছেন। আমরা মাঠগুলোকে সবুজ মাঠে পরিণত করে খেলাধুলার জন্য যথাযথভাবে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করবো। মেয়র বাকলিয়া একটি স্টেডিয়াম নির্মাণের কথা বলেছেন। আমি তাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি স্টেডিয়ামটি নির্মাণে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হবে। ’

ক্রীড়াঙ্গনে তারকা খেলোয়াড়ের অভাব রয়েছে উল্লেখ করে তরুণ এ উপমন্ত্রী বলেন,‘যত বেশি তারকা খেলোয়াড় থাকবে তত বেশি ক্রীড়াঙ্গন উর্বর হবে। সেক্ষেত্রে গণমাধ্যমকে সহযোগীতা করতে হবে। ক্রীড়াঙ্গনে যেসব প্রতিভা রয়েছে তাদেরকে পাদপ্রদীপের আলোয় নিয়ে আসা আপনাদের দায়িত্ব। তখন তাদের দেখে আরো বেশি প্রতিভার বিকশিত হবে। ’

আরিফ খান জয় বলেন, ‘যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়কে একটি নিচের লেভেলের মন্ত্রণালয় মনে করা হয়। আগামী এক বছরের মধ্যে কাজের মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম দশ কোটি মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়ে দেখিয়ে দিতে চাই। এই মন্ত্রণালয় অন্য দশটির সমকক্ষ। ’

এসময় তিনি চট্টগ্রামের ক্রীড়াঙ্গনের উন্নয়নে বিভিন্ন দাবি দাওয়া পূরণের আশ্বাস দেন। এছাড়া আগামী টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের বাকি সংস্কার কাজ শেষ করা হবে বলেও জানান তিনি।

মতবিনিময় সভায় আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, ‘চট্টগ্রামে মাঠের সমস্যা সবচেয়ে বেশি। আউটার স্টেডিয়ামটিও সেনাবাহিনী বোর্ড লিজ বাতিল করাই তাদের আওতায় চলে যায়। এটা ফিরে পেতে একটা আইনি প্রক্রিয়া চলছে। ’

তিনি বলেন, ‘আউটার স্টেডিয়ামের ব্যাপারে সেনাবাহিনী বোর্ড কর্তৃপক্ষকে ভুল তথ্য সরবরাহ করা হয়েছিল। আমরা প্রকৃত বিষয়টি তাদের বোঝাতে সক্ষম হয়েছি। তারাও এখন অনেকটা ইতিবাচক। আশা করছি, খুব শিগগিরই আউটার স্টেডিয়ামের কর্তৃত্ব ফের আমরা ফিরে পাব। ’

তিনি বলেন, ‘সেটি পেলে মাঠটি সংস্কার করে সেখানে কিশোর ক্রিকেট ও ফুটবল টুর্নামেন্ট এবং স্কুল ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে। এ ছাড়া উঠতি খেলোয়াড়রা এখানে প্র্যাকটিস করার সুযোগ পাবে। ’

আউটার স্টেডিয়ামের কর্তৃত্ব ফিরে পেলে একপাশে আন্তর্জাতিক মানের সুইমিংপুল নির্মাণ করা হবে বলেও জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৫ঘণ্টা, জানুয়ারী ১৯, ২০১৪
সম্পাদনা: তপন চক্রবর্তী, ব্যুরো এডিটর।

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।