ঢাকা, রবিবার, ২১ আশ্বিন ১৪৩১, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০২ রবিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বিশ্বে শিক্ষায় বাজেট বাড়ছে, আমাদের কমছে: শিক্ষামন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৪
বিশ্বে শিক্ষায় বাজেট বাড়ছে, আমাদের কমছে: শিক্ষামন্ত্রী ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম: বাজেটে শিক্ষাখাতের জন্য বরাদ্দ নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

বুধবার বেলা ১২টার দিকে নগরীর ফুলকি স্কুল পরিদর্শনে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমি যখন দায়িত্ব নিই তখন শিক্ষায় বাজেট ছিল শতকরা ১৪ ভাগ।

  পরের বছর তা কমে হয় ১৩ ভাগ।   এখন সেটা ১১ ভাগে এসে দাঁড়িয়েছে।


তিনি বলেন, সারা বিশ্বে যখন শিক্ষায়  বাজেট বাড়ছে আমাদের তখন ক্রমেই কমতে শুরু করেছে।   অথচ শিক্ষাকেই সর্বাধিক অগ্রাধিকার দেয়া উচিত ছিল।   কারণ শিক্ষা একমাত্র দেশকে পশ্চাৎপদতা থেকে মুক্ত করতে পারে।

মন্ত্রী বলেন, অনেকে বলছে গাছতলায় ক্লাস হচ্ছে, বিদ্যালয় নেই।   আমি বলি এটা ইতিবাচক সমস্যা, উন্নয়নের বেদনা।   সকল সীমাবদ্ধতা নিয়েই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।

এসময় ২০১৫ সালের পয়লা জানুয়ারির সারাদেশে প্রথম থেকে নবম শ্রেণী পর্যন্ত ৪ কোটি ৪৪ লক্ষ শিক্ষার্থীর হাতে বই তুলে দেওয়া হবে বলে জানান মন্ত্রী।

“পাঁচ বছরে আমাদের দেশে শিক্ষার্থীর সংখ্যা আড়াইগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। সকল ধরণের পরিবার থেকে ছেলে-মেয়েরা পড়ালেখা করতে আসছে।   অবশ্য শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া আমরা এখনো বন্ধ করতে পারিনি। ”

বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, অনেক প্রতিকুল অবস্থার মধ্য দিয়ে আমার কাজ করছি।    শিক্ষার্থী নিয়ে আসছি, কিন্তু বসতে দিতে পারছিনা।    শিক্ষকদের উপযুক্ত বেতন দিতে পারছি না।   তারপরও শিক্ষার গুণগত পরিবর্তনের চেষ্টা করে যাচ্ছি। কারণ শিক্ষাই পারে সকল সমস্যা থেকে দেশকে মুক্ত করতে।

ফুলকি স্কুল পরিদর্শন শেষে দুপুর পৌনে একটায় নগরীর সরকারি সিটি কলেজে পরিদর্শনে যান শিক্ষামন্ত্রী।

সেখানে তিনি বলেন, উন্নত দেশগুলোর বাইরে ১৫ সালের মধ্যে শতকরা একশভাগ শিশুকে স্কুলে নিয়ে আসার যে লক্ষ্যমাত্রা ছিল, বাংলাদেশই পেরেছে তা পূরণ করতে।

“এখন দেশের শতকার ৯৯ দশমিক ৪৭ ভাগ শিশু প্রাথমিক স্কুলে আসছে। আমরা ৪০ শতাংশ শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি দিচ্ছি, যার ৩০ শতাংশ মেয়ে, ১০ শতাংশ ছেলে। ”

শিক্ষাক্ষেত্রে মেয়েরা এগিয়ে গেছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, প্রাথমিকে ছাত্রীর সংখ্যা শতকার ৫১ জন, ছাত্র ৪৯ জন, আর মাধ্যমিকে মেয়ে শতকরা ৫৩ জন। দেশের সবক্ষেত্রেই নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

এসময় চট্টগ্রাম সরকারী কলেজ, সিটি কলেজ ও কমার্স কলেজ নিয়ে বিভিন্ন উন্নয়ন পরিকল্পনা তুলে ধরেন শিক্ষামন্ত্রী।

এর আগে বুধবার সকালে চট্টগ্রাম সফরে এসে শিক্ষামন্ত্রী চট্টগ্রাম সরকারি মহিলা কলেজ, মির্জা আহমেদ ইস্পাহানী হাই স্কুল পরিদর্শন করেন।   সিটি কলেজ পরিদর্শন শেষে নগরীর প্রবর্তক স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন করেন।

বিকেলে চট্টগ্রাম সরকারি কলেজে একটি সেমিনারে অংশ নেয়ার কথা রয়েছে শিক্ষামন্ত্রীর।

স্কুল-কলেজ পরিদর্শনকালে তার সঙ্গে শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান, বিদ্যালয় পরিদর্শক কাজী নাজিমুল ইসলাম, উপ-সচিব মো. মাহবুব হাসান, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা পরিদপ্তরের উপ-পরিচালক আব্দুল আজিজ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২৫ ঘণ্টা, ২৬ নভেম্বর, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।