ঢাকা, রবিবার, ২১ আশ্বিন ১৪৩১, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০২ রবিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘বৈধ’ বিলবোর্ড উচ্ছেদের অভিযোগ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৪
‘বৈধ’ বিলবোর্ড উচ্ছেদের অভিযোগ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম/ফাইল ফটো

চট্টগ্রাম: অবৈধের পাশাপাশি বৈধ বিলবোর্ডও উচ্ছেদ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিজ্ঞাপনী সংস্থার মালিকরা।

বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এম মনজুর আলমের সঙ্গে এক বৈঠকে এ অভিযোগ করেন তারা।

এসময় তারা নীতিমালা বহির্ভূত বিলবোর্ড মালিকদের সংশোধনে জন্য সময় দিতে মেয়রকে অনুরোধ জানান।

চিটাগাং আউটডোর অ্যাডভার্টাইজিং ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফরিদ মাহমুদ বাংলানিউজকে বলেন,‘অবৈধ বিলবোর্ড বিজ্ঞাপনী সংস্থাগুলোর সঙ্গে কর্পোরেশনের কিছু ভুল বুঝাবুঝির সৃষ্টি হচ্ছে।
অবৈধ বিলবোর্ডের পাশাপাশি কিছু বৈধ বিলবোর্ডও অপসারণ করা হয়েছে। বাদামতলী ও প্রবর্তক মোড় এলাকায় এ ধরণের কয়েকটি বৈধ বিলবোর্ড অপসারণ করা হয়েছে। বিষয়টি অবহিত করার জন্য মেয়র মহোদয়ের কাছে গিয়েছিলাম। ’

অসাধু কিছু ব্যবসায়ী ভূয়া স্টিকার লাগানোর কারণে এ ধরণের ভুল বুঝাবুঝির সৃষ্টি হচ্ছে বলে জানান তিনি। এক্ষেত্রে অবৈধ বিলবোর্ড সঠিকভাবে চিহ্নিত করে অভিযান চালানোর দাবি জানান বিজ্ঞাপনী সংস্থার মালিকরা।

এছাড়া নীতিমালা বহির্ভূত বিলবোর্ড সংশোধনের সময় দেওয়ার জন্যও মেয়রের কাছে অনুরোধ জানান তারা।

কর্পোরেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা আহমুদুল হক বাংলানিউজকে বলেন,‘বিজ্ঞাপনী সংস্থার মালিকদের সমস্যা লিখিত আকারে উপস্থাপনের অনুরোধ জানানো হয়েছে। পরবর্তীতে বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ’

করপোরেশন সূত্র জানায়, ২০১৩ সালের জুন পর্যন্ত নগরীতে ২১৯টি বিজ্ঞাপনী সংস্থাকে ছয় হাজার ১৭০টি বিলবোর্ড বা সাইনবোর্ডের অনুমোদন দেয় কর্পোরেশন। এর মধ্যে তিন হাজার ৯৬৪টি কর্পোরেশনের নিজস্ব জায়গায় স্থাপনের অনুমোদন দেওয়া হয়। বাকিগুলো রয়েছে রেলওয়ে ও বন্দরসহ বিভিন্ন সরকারি সংস্থার জায়গায়। ২০১৩ সালের জুন থেকে নতুন বিলবোর্ড অনুমোদন বন্ধ রয়েছে।   ২০১২-১৩ অর্থবছর থেকে পুরনো বিলবোর্ডের নবায়নও বন্ধ রাখা হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী নগরীতে বর্তমানে কোন বৈধ বিলবোর্ড নেই।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৫ ঘণ্ট‍া, নভেম্বর ২৬, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।