ঢাকা, রবিবার, ২১ আশ্বিন ১৪৩১, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০২ রবিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

পর্বতারোহন সংস্কৃতি জনপ্রিয় চায় ‘ভারটিক্যাল ড্রিমারস’

বিনোদন করেসপনডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৪
পর্বতারোহন সংস্কৃতি জনপ্রিয় চায় ‘ভারটিক্যাল ড্রিমারস’ ছবি : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম: ‘ভারটিক্যাল ড্রিমারস’।   পর্বতারোহন সংস্কৃতি জনপ্রিয় করতে চট্টগ্রামের প্রথম মাউন্টেনিয়ারিং ক্লাব।

  বৈরী পরিবেশ ও দুর্গম পথের ভয়কে জয় করে সম্প্রতি এ ক্লাবের সদস্যরা আরোহন করেছেন নেপালের লেংটাং ভ্যালীর চারটি পর্বত।

শনিবার নগরীর প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে ভারটিক্যাল ড্রিমারস ক্লাব আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে থারপু চুলি, সারগো রি, কায়াঞ্জিন রি, সুরিয়া পিকের মতো চারটি পর্বতে আরোহনের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন সদস্যরা।
  এছাড়া ক্লাবের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কেও জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে ক্লাবের সদস্য দেবাশিষ বল বলেন, ক্লাবের মূল উদ্দেশ্য ছিল পর্বতারোহন স্পোর্টসটিকে তরুণ সমাজের কাছে জনপ্রিয় ও সহজলভ্য করে তোলা এবং প্রতিবছর হিমালয়ের পর্বতগুলোয় অভিযান পরিচালনা করা।

সেই লক্ষ্যকে পূর্ণতা দিতেই দুই দলে ভাগ হয়ে দুইটি ভিন্ন ভিন্ন পর্বতাঞ্চলে আরোহন করে।   প্রথম দলটি এ বছর ৬ অক্টোবর ও দ্বিতীয় দলটি ১১ অক্টোবর নেপালের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে।

তিনি জানান, প্রথম দলটি দ্যা কোয়েষ্ট নামক ঢাকা ভিত্তিক একটি অ্যাডভেঞ্চার ক্লাবের আয়োজনে অন্নপূর্ণার কোলে ৫৭০০ মিটারের থারপু চুলি পর্বত আরোহন করে।

প্রথম দলের সদস্য দেবাশিষ বল বলেন, পরিকল্পনা অনুযায়ী ১৮ অক্টোবর রাত ১২টায় যাত্রা শুরু করলেও হুদহুদ তুষারঝড়ের তারণে কোমরসমান বরফ, অক্সিজেনের অভাবে থারপু চুলি চূড়ার মাত্র ৪০০ মিটার থেকে ফেরত আসতে বাধ্য হয় তারা।

দ্বিতীয় দলের সদস্য ভারটিক্যাল ড্রিমারস ক্লাবের জেনারেল সেক্রেটারি ফরহাদ জামান ও বাবর আলী বলেন, অপর সদস্য আরফি নেয়াজ সহ তাদের দলটি ছিল তিন সদস্য বিশিষ্ট।   তুষারঝড় হুদহুদের কারণে গলা সমান বরফের কবলে পড়লেও কোনরূপ শেরপার সাহায্য ছাড়াই তারা সফলভাবে কায়াঞ্জিন রি (৪৮০০মিটার), সারগো রি (৪৯০০ মিটার) ও গোসাইকুন্ডের সৌন্দর্য সংলগ্ন সুরিয়া পিক (৫১৪৫)জয় করেন।

তরুণদের এ দুঃসাহসিক স্পোর্টসে আসতে আহবান জানিয়ে ক্লাবের সদস্য দেবাশিষ বল বলেন, পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে পর্বতারোহনের সুযোগ এতদিন তৈরি করা যায়নি।   স্বল্প খরচে শুধু সাহসের জোরে ও তারুণ্যের স্পৃহায় পর্বতারোহন করা যায় সেই বার্তাই আমরা সবার কাছে পৌঁছাতে চাই।

এ ক্লাবে প্রতি মাসে পর্বতারোহন কর্মশালায় অংশগ্রহণ করে তরুণরা প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা লাভ করতে পারবে বলে জানান তিনি।

আলোচনা শেষে তাদের পর্বতারোহন অভিযানের আলোকচিত্র নিয়ে স্লাইডশো প্রর্দশনী করা হয়।

চলতি বছরের ৩০মে অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয় তরুণদের একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে এ ক্লাব গঠন করা হয়।   তাদের লক্ষ্য ২০১৮ সালের মধ্যে চট্টগ্রামের দল হিসেবে সর্বপ্রথম পৃথিবীর সর্বোচ্চ চূড়া এভারেষ্টে আরোহণ করা।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।