ঢাকা, বুধবার, ১৮ আষাঢ় ১৪৩১, ০৩ জুলাই ২০২৪, ২৫ জিলহজ ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

মোটা অংকের টাকা নিয়ে উধাও এনএমআই প্রশিক্ষক

মো.মহিউদ্দিন, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৬, ২০১৪
মোটা অংকের টাকা নিয়ে উধাও এনএমআই প্রশিক্ষক মঈন আহমেদ

চট্টগ্রাম: ন্যাশনাল মেরিটাইম ইনস্টিটিউট(এনএমআই) ভর্তির প্রলোভন দেখিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে গা ঢাকা দিয়েছেন ওই প্রতিষ্ঠানের এক প্রশিক্ষক।

নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে এনএমআইতে প্রধান নৌ-প্রশিক্ষক পদে  নিয়োগের তিন মাসের মাথায় মঈন আহমেদ এমন কাণ্ড ঘটালেন।

এছাড়া কর্মরত অবস্থায় বিভিন্ন অনিয়মের কারণে বিপাকে পড়েছেন ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষ।

তবে প্রশিক্ষক পদে নিয়োগ পেলেও ব্যক্তিগত নথিতে কোন তথ্য পাচ্ছে না এনএমআই কর্তৃপক্ষ।
ফলে সরকারি এই কর্মকর্তার খোঁজ নিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

এদিকে চাকরিকালীন সময়ে বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতি ও ভর্তির প্রলোভন দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে ওই প্রশিক্ষক বিদেশি একটি জাহাজে চাকরিতে যোগ দিয়েছেন বলে জানতে পেরেছে এনএমআই কর্তৃপক্ষ। ফাইলে ব্যক্তিগত কোন তথ্য না থাকায় মঈনের খোঁজ পাচ্ছে না নিয়োগদানকারী কর্তৃপক্ষ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মেরিন ফিশারিজ থেকে পাশ করা বরিশাল জেলার বাসিন্দা মঈন আহমেদ পিএসসির মাধ্যমে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীন এনএমআইতে চিফ ইঞ্জিনিয়ার ইনস্ট্রাকশন পদে নিয়োগ পান চলতি বছরের ১৩ মার্চ।

হঠাৎ করেই ২৯ জুন থেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন তিনি। এরই মধ্যে বিভিন্ন অনিয়ম ধরা পড়ে। তাই নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেন এনএমআই কর্তৃপক্ষ।

নথি ছাড়াই যোগদান!
এদিকে কোন ধরণের ব্যক্তিগত নথি জমা না দিয়েই প্রশিক্ষক পদে যোগদান করছেন মঈন আহমেদ। ফলে পালিয়ে যাওয়ার পরও তার প্রকৃত ঠিকানা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

এনএমআই সূ্ত্রে জানা গেছে, মন্ত্রণালয় থেকে এনএমআইতে পাঠানোর পর একাধিকবার তার কাছে নথি চাওয়া হলে বিষয়টি তিনি কৌশলে এড়িয়ে যান। এমনকি তার প্রকৃত ঠিকানাও কাউকে বলেননি।

নাবিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বেশ কিছুদিন ধরে মঈন আহমেদ‘র অবস্থান জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু সঠিক কোন তথ্য না পাওয়ায় তার বিষয়ে এখনো পর্যন্ত কিছুই জানা যায়নি।

টাকা নিয়ে উধাও হওয়ার পর বিদেশি একটি জাহাজে যোগ দিয়েছেন বলে বিভিন্ন সূত্রে জানতে পেরেছেন তারা। তবে পরিবারের কারো সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পারায় তার ‍অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারছেন না।

অবশেষে নিয়োগ বাতিল:
শুরুতে গড়িমসি করলেও অবশেষে ওই কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। চাকরি শর্ত লঙ্ঘন ও শিক্ষানবীশির মেয়াদকালে আচরণ ও কাজ সন্তোষজনক না হওয়ায় তার নিয়োগ বাতিল করা হয়।

সম্প্রতি রাষ্ট্রপতির আদেশে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম স্বাক্ষতির চাকরি বাতিলের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১২৫৮ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।