ঢাকা, বুধবার, ১৮ আষাঢ় ১৪৩১, ০৩ জুলাই ২০২৪, ২৫ জিলহজ ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

মালয়েশিয়া পাচার

দুই দালালের দ্বন্দ্বে অপহৃত শিশু বাকলিয়ায় উদ্ধার

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৯, ২০১৪
দুই দালালের দ্বন্দ্বে অপহৃত শিশু বাকলিয়ায় উদ্ধার মো.ফারুক

চট্টগ্রাম: মালয়েশিয়ায় আদাম পাচারের টাকা নিয়ে দুই দালালের মধ্যে দ্বন্দ্বের জের ধরে মো.ফারুক (১০) নামে এক রোহিঙ্গা শিশু অপহরণের শিকার হয়েছে। সোমবার গভীর রাতে নগরীর বাকলিয়া থেকে ফারুককে উদ্ধার করেছে পুলিশ।



এসময় রফিকুল ইসলাম প্রকাশ মনু (৩৮) নামে একজন অপহরকারীকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মনু এবং ফারুককে জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ মালয়েশিয়ায় আদম পাচার সংক্রান্ত তথ্য জানতে পেরেছে।


অপহৃত ফারুক কক্সবাজারের উখিয়া কুতপালং রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের হাবিবুল্লার ছেলে।

বাকলিয়া থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন বাংলানিউজকে বলেন, ফারুকের ভগ্নিপতি আলম মালয়েশিয়ায় আদম পাচারের সঙ্গে যুক্ত। চট্টগ্রামের আদম পাচারকারী সবুরের সঙ্গে আলমের টাকাপয়সা নিয়ে দ্বন্দ্ব আছে। এর জেরেই ফারুককে জিম্মি করে ৬০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছিল সবুর ও তার অনুগত সন্ত্রাসীরা।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দু’দিন আগে কুতপালং থেকে ফারুক ও আলম নগরীর বাকলিয়া থানার বাস্তুহারা কলোনিতে ফারুকের খালার বাসায় বেড়াতে আসে। সেখান থেকে সোমবার রাতে ফারুককে অপহরণ করে বাকলিয়া এনএমজে কলেজ এলাকায় একটি বাসায় নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। অপহরণের বিষয়টি জানতে পেরে আলম ফারুককে উদ্ধারের চেষ্টা না করে পালিয়ে যায়।

রাতে গোপন সূত্রে অপহরণের খবর পেয়ে বাকলিয়া থানা পুলিশ এনএমজে কলেজ রোডের বাসায় অভিযান চালায়। সেখানে ফারুককে উদ্ধার এবং মনুকে আটক করা হয়।

এ ঘটনায় বাকলিয়া থানার এস আই আবু তাহের চৌধুরী বাদি হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলার আসামীরা হল, রফিকুল ইসলাম প্রকাশ মনু, সবুর, কামাল মেম্বার, নূরুল ইসলাম এবং ইসমাইল।

বাকলিয়া থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন বাংলানিউজকে বলেন, আলমকে খুঁজে পাওয়া গেলে এবং সবুরকে গ্রেপ্তার করতে পারলে আদম পাচার সংক্রান্ত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে। তাদের সন্ধানে অভিযান চলছে।

এছাড়া উদ্ধার হওয়া ফারুককে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদানের জন্য বুধবার আদালতে হাজির করা হবে বলে জানিয়েছেন ওসি।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯,২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।