চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামে প্রতারণার দায়ে অপহরণকারী চক্রের দুই নারী সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে নগরীর বাকলিয়া থানা পুলিশ। মঙ্গলবার ভোরে নগরীর আগ্রাবাদ মুহুরিপাড়া এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এরা হল, জমিলা খাতুন (৩৫) এবং মাজেদা বেগম (২৪)।
গত ১৭ সেপ্টেম্বর আব্দুস সালাম নামে এক ব্যবসায়ি এই চক্রের হাতে অপহরণের পর প্রতারণার শিকার হন।
বাকলিয়া থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন বাংলানিউজকে বলেন, জুয়েল ও মোরশেদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে দুই নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা দু’জন দেহ ব্যবসায়ি। এর আড়ালে আবার প্রতারণাও করে।
এদিকে গ্রেপ্তারের পর মঙ্গলবার বিকেলে দুই নারী চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম সৈয়দ মাশফিকুল ইসলামের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, জবানবন্দিতে তারা জানিয়েছে, ব্যবসায়ি আব্দুস সালামকে প্রলোভন দেখিয়ে তারা একটি বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে দু’জনের সঙ্গে পৃথকভাবে সালামের শারীরিক সম্পর্ক হয়। পরে তাকে আটকে রেখে টাকা দাবি করে তারা।
গত ১৭ সেপ্টেম্বর ব্যবসায়ি আব্দুস সালাম অপহরণের পরদিন বাকলিয়া থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।
তিনি নগরীর বাকলিয়া থানার কে বি আমান আলী রোডের মৃত সোনা মিয়ার ছেলে। তিনি সালাম ম্যানশন নামে একটি বহুতল ভবনের মালিক।
উদ্ধারের পর আব্দুস সালাম পুলিশকে জানায়, ওইদিন সকাল সাড়ে ৮টার দিকে আব্দুস সালাম নগরীর আইস ফ্যাক্টরি রোডে কলেজিয়েট স্কুলে ছেলেকে দিতে যান। এসময় তার মুঠোফোনে একটি ফোন আসে। অজ্ঞাত ব্যক্তি তাকে জায়গা বিক্রির কথা বলে হালিশহর এলাকায় যেতে বলেন।
অজ্ঞাত ব্যক্তির কথা প্রলুব্ধ হয়ে দুপুর ১২টার দিকে তিনি হালিশহর এলাকায় যান। হালিশহরে পৌঁছার পর তাকে একটি বাসায় ঢুকিয়ে আটকে রাখা হয়। এসময় সেখানে তিনজন পুরুষ ও দু’জন মহিলা ছিল। এক পর্যায়ে মহিলাদের সঙ্গে তার বিভিন্ন অশ্লীল ছবি তোলা হয়।
পরে তার মোবাইল থেকে বাসায় ফোন করে দেড় লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। বিকেলে আব্দুস সালামের শ্যালক ইউসুফ একটি বিকাশ নম্বরে ২০ হাজার টাকা দেয়। কিন্তু এরপরও তাকে ছেড়ে না দেয়ায় সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিষয়টি বাকলিয়া থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়।
এরপর পুলিশ অভিযানে নামে। রাত ১টার দিকে পুলিশ তাকে সাগরিকা এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় বাকলিয়া থানায় আব্দুস সালাম বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। পরে তিনি আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিও দেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০২১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০১৪