চট্টগ্রাম: নির্দিষ্ট কয়েকটি রফতানি বাজারের উপর নির্ভরশীল না থেকে তা সম্প্রসারণে নতুন নতুন পণ্য ও বাজার খোঁজার উপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
সোমবার দুপুরে রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো আয়োজিত সেমিনারে বক্তারা বিষয়টির উপর গুরুত্বারোপ করেন।
‘রুলস অফ অরিজিন ফর জিএসপি, সাফটা, আপটা, কেপিটি, বিমেসটেক এন্ড দেয়ার অ্যাপ্লিকেশন’ শীর্ষক এ সেমিনারে সরকারি বিভিন্ন বিভাগ, স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, বীমা, রফতানিকারকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৫৮ জন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো চট্রগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ের পরিচালক মো. আলমগীর সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন বিজিএমইএ’র পরিচালক অঞ্জন শেখর দাশ। এতে রিসোর্স পার্সন হিসেবে বক্তব্য রাখেন রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো‘র উপ-পরিচালক মো. জাকির হোসেন।
মো. আলমগীর সিদ্দিকী জানান, বাংলাদেশের মোট রফতানির প্রায় ৯৪ শতাংশই ৮টি পণ্যের মাধ্যমে অর্জিত হয়। এছাড়া মোট রফতানির ৮০ শতাংশের অধিক ৪টি বাজারের উপর নির্ভরশীল।
তিনি বলেন, আমাদের এ নির্ভরশীলতা থেকে বেরিয়ে আসতে নতুন নতুন পণ্য ও নতুন নতুন বাজার তৈরি করতে হবে।
আলমগীর সিদ্দিকী জানান, ২০১৩-১৪ অর্থ বছরে ৩০ দশমিক ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে রফতানি আয় ছিল ৩০ দশমিক ১৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। রফতানি প্রবৃদ্ধি ছিল ১১ দশমিক ৬৫ শতাংশ।
২০১৪-২০১৫ অর্থ বছরে রফতানি লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩৩ দশমিক ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এরমধ্যে জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত রফতানি আয় দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ৭০ দশমিক ৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় শূণ্য দশমিক ৯২ শতাংশ বেশি। এ ধারা অব্যাহত থাকলে নির্ধারিত রফতানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হবে বলে প্রত্যাশা করছেন তিনি।
সেমিনারে আঞ্চলিক পরিচালক বলেন, রফতানিকারক ও রফতানি কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত কর্মকর্তাদের জ্ঞান ও দক্ষতা বাড়াতে রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো প্রতি বছর দেশের বিভিন্ন স্থানে সেমিনার ও কর্মশালা আয়োজন করে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে।
সেমিনারে রিসোর্স পার্সন মো. জাকির হোসেন বিষয়ের উপর বিশদ আলোচনা করেন। সেমিনার থেকে লব্ধ জ্ঞান স্ব স্ব ক্ষেত্রে প্রয়োগের মাধ্যমে রফতানি বৃদ্ধিতে অবদান রাখতে অংশগ্রহণকারীদের প্রতি অনুরোধ জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৪