ঢাকা, বুধবার, ১৩ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ জুন ২০২৪, ১৮ জিলহজ ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

কাঠ খোদাইয়ে রঙছাপা ছবি

স্টাফ করেসপনডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৪
কাঠ খোদাইয়ে রঙছাপা ছবি ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা ইনস্টিটিউটে কাঠের খোদাইয়ে বৈচিত্রময় রঙের লেয়ারে ছাপচিত্রের ছাপাই ছবি শীর্ষক প্রর্দশনী উদ্বোধন করা হয়েছে।

সোমবার বিকেলে সাতদিন ব্যাপী এ প্রর্দশনী উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. সেকান্দর চৌধুরী।



সেকান্দর চৌধুরী তাঁর বক্তব্যে বলেন, চারুকলার সকল সৃষ্টিই সুন্দরের জন্যে। ছাপচিত্র শাখার এ প্রর্দশনী সৌন্দর্য সৃষ্টি করবে, নতুন নতুন শিল্পী দিয়ে দেশে চারুকলায় নেতৃত্ব দেবে।


চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের ছাপচিত্র শাখার প্রভাষক রুহুল করিম রুমীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক শায়লা শারমিন এবং চারুকলা ইনস্টিটিউটের ছাপচিত্র শাখার সহযোগী অধ্যাপক মো.জসিম উদ্দিন ও চারুকলা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক মনসুর উল করিম উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধনের পর প্রধান অতিথিকে চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষকদের তৈরি ছাপচিত্র সম্বলিত আগামী বছরের ক্যালেন্ডার তুলে দেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের ছাপচিত্র শাখার প্রভাষক রুহুল করিম রুমী।

ছাপচিত্র শাখার বিভিন্ন বর্ষের ২১জন শিক্ষার্থীর ছাপচিত্র এ প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে।   চারুকলা ইনস্টিটিউটের ছাপচিত্র শাখার প্রভাষক রুহুল করিম রুমী প্রর্দশনী সম্পর্কে বাংলানিউজকে জানান, চারুকলা ইনস্টিটিউটের বার্ষিক চারুকলা প্রর্দশনীর বাইরে এবারই প্রথম ছাপচিত্র বিভাগ স্বতন্ত্র প্রর্দশনীর আয়োজন করেছে। মূলত শিক্ষার্থীদের ক্লাসওয়ার্কগুলোই প্রর্দশনীতে স্থান পেয়েছে, যা তাদের নিয়মিত ছাপচিত্র তৈরিতে উৎসাহী করবে।

তিনি বলেন আমরা প্রর্দশনীতে গুরুত্ব দিয়েছি আদি মধ্যম কাঠ খোদাইকে। ভবিষ্যতে আমরা এচিং লিথোগ্রাফিরমত ছাপচিত্রের নতুন মাধ্যমগুলো নিয়ে আরও বড় পরিসরে প্রর্দশনী করবো।

প্রর্দশনী ঘুরে দেখা যায় পোর্ট্রেট, অ্যাবস্ট্রাক্ট, ল্যান্ডস্কেপ, স্টিল লাইফ, গ্রাম বাংলার জীবন, পরিবেশ ইত্যাদি বিষয় ছাপচিত্রে স্থান পেয়েছে। কাঠের খোদাই থেকে হালকা ও গাড় রঙের স্তরে প্রতিটি ছাপায় তুলে আনা একেকটি ছাপচিত্র। মূর্ত করে তোলে মানব সভ্যতার আদি চারুশিল্প।

প্রর্দশনীতে যাদের ছাপচিত্র স্থান পেয়েছে তারা হলেন, এ এছেন, ইফফাত জাহান, থৈহ্লা চিং মার্মা, সুমু সেন, সুমন্তা রাণী মোহন্তা, ফাতেমা আওলাদ, সাবিহা মাহবুব, মারূফ আদনান, আসমা নাসরিন তোফা, আপু চক্রবর্তী, মো.আলী, সুমন সূত্রধর, পূর্ণা পাল, ইমরান হোসেন, সুমিত চক্রবর্তী, মাধবী রাণী নাথ, জেনিয়া আফরোজ, সোহেল রানা, নিশাত কামাল, হোসনে আরা, মনিকা নন্দী, মুনমুন দাস, সোমা মজুমদার ও মো. হান্নান।

প্রর্দশনী চলবে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত।   প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। শিক্ষার্থীদের তৈরি প্রতিটি ছাপচিত্র ৫ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকায় ও ছাপচিত্র সম্বলিত ক্যালেন্ডার ২ হাজার টাকায় প্রর্দশনী স্থল থেকে কেনা যাবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘন্টা,ডিসেম্বর ১৫, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।