ঢাকা, বুধবার, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ জুন ২০২৪, ১৮ জিলহজ ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

রোববার থেকে লাগাতার চবি অবরোধের হুমকি

চবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৪
রোববার থেকে লাগাতার চবি অবরোধের হুমকি ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম: পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তাপস সরকারকে হত্যা করা হয়েছে অভিযোগ তুলে এবং ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও হাটহাজারীর থানার ওসির অপসারণসহ ৬ দফা দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ছাত্রলীগের একাংশ।

বুধবার দুপুরে প্রেসক্লাবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক সংগঠন ভিএক্সের কর্মীরা এ সংবাদ সম্মেলন করে।



এতে আগামী শনিবারের (২০ ডিসেম্বর) মধ্যে দাবি মেনে না নিলে রোববার (২১ ডিসেম্বর) থেকে লাগাতার অবরোধ কর্মসূচির মাধ্যমে চবি অচলের হুমকি প্রদান করা হয়।   এসময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভিএক্স কর্মী মোহাইমিনুল হক ফয়সাল।
 

লিখিত বক্তব্যে মোহাইমিনুল হক ফয়সাল বলেন, ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত তাপস সরকারের লাশ নিয়ে অপরাজনীতি ও কুৎসা রটানো হচ্ছে। ফলে মূল হত্যাকারীরা ধরা ছোঁয়ার বাইরে চলে যাচ্ছে।   আমরা তাপস হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচার চাই।   প্রয়োজনে গোয়েন্দা বিভাগ এ ঘটনা তদন্তের দায়িত্ব নিতে পারে।

তিনি বলেন, ফরেনসিক বিভাগ থেকে বলা হয়েছে নাইন এমএম পিস্তলের দুটি বুলেট তাপসের জীবন হরণ করেছে।   এখন প্রশ্ন আদৌ নাইন এমএম পিস্তল দিয়ে শাহজালাল হল থেকে কোন গুলি ছোঁড়া হয়েছে কিনা? যদিও করা হয় তবে একটি বুলেট তাপসের বুকে লাগার পর আরেকটি বুলেট কিভাবে পরপর বিঁধল।   তাছাড়া শাহজালাল হল থেকে শাহ আমানত হলের দূরত্ব প্রায় একশ মিটার।   আর তাপস দাঁড়িয়েছিল শাহ আমানত হলের তৃতীয় তলায়।

সিএফসির নেতা রাকিব হোসেনকে পেশাদার খুনি উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০৮ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা, নারী কেলেঙ্কারি, সাংবাদিক নির্যাতন, নিজ সংগঠনের কর্মীদের হত্যা, নির্যাতন সহ বিভিন্ন অপকর্ম করেছেন। ২০১০ সালে তার হাতে খুন হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরীহ ছাত্র মহিউদ্দিন মাসুম। এছাড়া চলতি বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর অমিত কুমার বসু, সুমন মামুন ও রাকিব হোসেনরে নেতৃত্বে সিএফসি’র কর্মীরা শাহজালাল হলে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ওপর অতর্কিত গুলি চালায়।   এতে ভিএক্স নেতা শুভাগত বড়ুয়া শুভ’র মুখে গুলিবিদ্ধ সহ ছাত্রলীগের তিন কর্মী গুরুতর আহত হয়।

তিনি আরও বলেন, অমিত কুমার বসু, সুমন মামুন ও শাহাদাত হোসেন জুয়েলের ছাত্রত্ব নেই।   তারা তাপসকে খুন করে প্রকৃত ছাত্রলীগের ওপর দোষ চাপিয়ে দিচ্ছে।   আর এতে হাটহাজারী থানার ওসি মো. ইসমাইলের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদ রয়েছে। ঘটনার সময় ওসি ইসমাইল যদি কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতেন এ সংঘর্ষ ঘটত না।   তদন্ত ছাড়া একজন পুলিশ কর্মকর্তা কিভাবে বলতে পারেন আশারাফুজ্জামান আশার গুলিতে তাপস খুন হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে ৬দফা দাবি জানানো হয়।   ৬দফা দাবি হলো সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে তাপস সরকারের মূল হত্যাকারীদের বিচার, কর্তব্য অবহেলার কারণে হাটহাজারী থানার ওসি মো. ইসমাইলের অপসারণ , হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী রাকিব,অমিত ও সুমন মামুন গং কে গ্রেফতার, ছাত্রলীগ কর্মীদের হলে অবস্থান এবং নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, আটক নিরাপরাধ নেতাকর্মীদের মুক্তি, ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা অস্ত্র ও হত্যা মামলা প্রত্যাহার।

 এতে উপস্থিত ছিলেন ভিএক্স কর্মী রনি সেন, আশরাফুল জক বাবলু, শাহজালাল শিমুল, মিজানুর রহমান মিজান প্রমুখ।  

বাংলাদেশ সময় : ১৫১১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।