চট্টগ্রাম: স্থায়ী ঠিকানার অভাবে ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক অনেক মূলধারার সংগঠনের অপমৃত্যু হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন খ্যাতিমান সমাজবিজ্ঞানী ও প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. অনুপম সেন।
ফুলকির একে খান স্মৃতি মিলনায়তনে শনিবার চট্টগ্রাম একাডেমির পঞ্চদশ সাধারণ সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, চট্টগ্রামে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিজে এসেছিলেন বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ গঠন ও অধিবেশনে।
স্মৃতিচারণ করে ড. সেন বলেন, নব্বইয়ের দশকে আমরা মুসলিম ইনস্টিটিউট চত্বরে জমজমাট বইমেলা করতাম। অন্তত ১০ বছর করেছি। আমি ছিলাম পরিষদের সভাপতি। কিন্তু তা আর ধরে রাখা যায়নি শুধু পরিষদের স্থায়ী ঠিকানার অভাবে। এরপর বিচ্ছিন্ন, বিক্ষিপ্ত ভাবে বইমেলা হয়েছে। কিন্তু চট্টগ্রাম একাডেমি দেড় দশক ধরে স্বাধীনতার বইমেলার ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পেরেছে। এটি কম গৌরবের নয়।
একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা সংগঠক কবি-সাংবাদিক রাশেদ রউফের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বার্ষিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন একাডেমির মহাপরিচালক নেছার আহমদ। স্থায়ী সদস্যদের পক্ষে বক্তব্য দেন ড. ওবায়দুল করিম দুলাল।
সভায় একাডেমির পরিচালক লেখিকা আনোয়ারা আলম, প্রফেসর রীতা দত্ত, এসএম আবদুল আজিজ, লায়ন জাহাঙ্গীর মিঞা, গল্পকার দীপক বড়ুয়া, শিশুসাহিত্যিক-সাংবাদিক বিপুল বড়ুয়া, কবি অরুণ শীল, প্রাবন্ধিক আমিনুর রশীদ কাদেরী, অধ্যক্ষ মেহের আফরোজ হাসিনা, রহমান হাবিব, অধ্যাপক বিকিরণ বড়ুয়া, নারীনেত্রী সৈয়দা রিফাত আকতার নিশু, কবি জিন্নাহ চৌধুরী, শিক্ষক অজিত কুমার আইচ, সংস্কৃতি সংগঠক ডা. বিধান মিত্র, কবি আবুল কালাম বেলাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
দ্বিতীয় পর্বে জিন্নাহ চৌধুরী সঞ্চালনায় গান, কবিতা, আবৃত্তি ও কথামালায় অংশ নেন মর্জিনা আখতার, রোকেয়া হক, মৃণালিনী চক্রবর্তী, আয়েশা হক শিমু, উৎপল কান্তি বড়ুয়া, তালুকদার হালিম, জুবাইর জসিম, করুণা আচার্য, নান্টু কুমার দাশ, কোহিনূর সাকি, গৌতম কানুনগো, অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১১১১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১৫
এআর/টিসি