ঢাকা, মঙ্গলবার, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২১ মে ২০২৪, ১২ জিলকদ ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘রাষ্ট্রকে অকার্যকর ও গণতন্ত্র হত্যার অপচেষ্টায় লিপ্ত শত্রুরা’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১৫
‘রাষ্ট্রকে অকার্যকর ও গণতন্ত্র হত্যার অপচেষ্টায় লিপ্ত শত্রুরা’ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম: স্বাধীনতার শত্রুরা বাংলাদেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত ও গণতন্ত্র হত্যার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন।

রোববার নগরীর জিইসি কনভেনশন সেন্টারে চসিকের উদ্যোগে ১২০ মুক্তিযোদ্ধাকে সপরিবারে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র এ মন্তব্য করেন।



মেয়র বলেন, মানবতার দুশমন, ঘৃণ্য ব্যক্তি ও তাদের সংগঠনের ব্যানারে স্বাধীনতার পর জাতির পিতাকে সপরিবারে, জেল খানায় জাতীয় চার নেতাকে এবং পরবর্তীতে রাষ্ট্রীয় আনুকূল্য পেয়ে এ দেশের অনেক সূর্য সন্তানকে হত্যা, গণহত্যা, হাত পায়ের রগ কাটা, চোখ তুলে নেওয়াসহ দেশের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নে ব্যাঘাত সৃষ্টি করেছে।

তিনি বলেন, ১৯৭১ সনের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা স্বজাতি ও স্বদেশের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে মানুষ হত্যা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাটসহ নারীর সম্ভ্রমহানি ঘটানোর মতো অপতৎপরতায় সরাসরি লিপ্ত ছিল সেই সব ব্যক্তি ঘৃণিত ও যুদ্ধাপরাধী।


আরেফিননগরের মুক্তিযোদ্ধা কবরস্থানে মুক্তিযোদ্ধাদের সমাহিত করাসহ শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি সংরক্ষণে চসিক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পিছপা হবে না আশ্বাস দিয়ে মেয়র বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাদের আত্মত্যাগ, ঘাম ও শ্রমে বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন দেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

অনুষ্ঠানে ভারতের সহকারী হাইকমিশানার সোমনাথ হালদার একাত্তরে ভারতের ভূমিকা তুলে ধরে বলেন, ভারত বন্ধুপ্রতিম প্রতিবেশী বাংলাদেশের সুখ-দুঃখের সাথি।

তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাথা সংরক্ষণের ওপর জোর দিয়ে বলেন, বর্তমান ও আগামী প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের গৌরবগাথা তুলে ধরার জন্যই মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিগাথা সংরক্ষণ করা অতীব প্রয়োজন।

রাশিয়ান কনসুলেট জেনারেল ওলেগ পি বয়কো বলেন, একাত্তরে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় রাশিয়া পাশে ছিল। ১৯৭২ থেকে ১৯৭৪ পর্যন্ত সময়ে রাশিয়ার নৌবাহিনী চট্টগ্রাম বন্দরকে সচল করার দায়িত্ব পালন করে। নাবিক রেডকিন জীবন দিয়ে বন্দরের মাইন অপসারণ করে ইতিহাসে অমর হয়ে আছে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মোহাম্মদ শফিউল আলম। বক্তব্য দেন প্যানেল মেয়র চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিট কমান্ডার মোজাফফর আহমদ প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের পর স্বাধীনতার ৪৪ বছর উপলক্ষে ৪৪টি মোমবাতি প্রজ্বলন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা। এ সময় ‘সব কটি জানালা খুলে দাও না’ গানটি পরিবেশিত হয়। প্রদর্শিত হয় মুক্তিযুদ্ধের ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র। সংবর্ধিত মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে নগদ ১০ হাজার টাকা, ক্রেস্ট ও সম্মাননা সনদ তুলে দেন মেয়র।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১৫
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।