বাঁশখালী থেকে: বাঁশখালী পৌরসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে যখন বিরামহীন প্রচারণা চালাচ্ছেন নৌকার মেয়র প্রার্থী সেলিমুল হক চৌধুরী, ঠিক তখনই কিছুটা কৌশলী পথে হাঁটছেন ধানের শীষের প্রার্থী কামরুল ইসলাম হোসাইনী। এলাকাবাসীর কাছে তিনি পরিচিত ‘কমরু’ হিসেবে।
প্রচারণার অংশ হিসেবে নিজেই ভোটারদের দ্বারে দ্বারে উপস্থিত হচ্ছেন। জনে জনে কুশল বিনিময় করছেন।
সোমবার সকালে বাঁশখালী উপজেলা পরিষদে গণসংযোগে ব্যস্ত দেখা যায় কমরুকে। ভোটারদের সঙ্গে আন্তরিক আলাপের পর নিজের প্রতীকের কথা মনে করিয়ে হাতে লিফলেট ধরিয়ে দিচ্ছেন।
প্রচারণার বিষয়ে কামরুল ইসলাম হোসাইনী বাংলানিউজকে বলেন, কিছুটা কৌশলী হয়ে প্রচারণা চালাচ্ছি। নিজেই প্রত্যেক ভোটারের কাছে যাচ্ছি।
এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কমরুর পক্ষে বিএনপির কোন নেতাকে প্রচারণায় দেখা যাচ্ছে না। প্রচারণার মাঠে নেই দলের শক্তিশালী জোট জামায়াতও।
এছাড়া ইসলামী ঐক্য জোট মাঠে থাকলেও তাদের তেমন সাড়াশব্দ নেই। তাই প্রচারণার লড়াইটা একাই লড়তে হচ্ছে কমরুকে।
বাঁশখালীতে জামায়াতের বিশাল ভোট ব্যাংক আছে। এদিকে গুঞ্জন উঠেছে আওয়ামী লীগ প্রার্থী সেলিমুল হক চৌধুরী জামায়াতের এ ভোট নিজের পক্ষে নেয়ার চেষ্টা করছে। এজন্য জামায়াতের সঙ্গে গোপনে যোগাযোগ করছেন তিনি।
এ বিষয়ে বিএনপি প্রার্থী কমরু বলেন, জামায়াত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত হয়েছে। সবচেয়ে বেশি কষ্টে আছে। তাই তারা নৌকার পক্ষে যেতে পারেনা। হয়তো কৌশলগত কারণে তারা মাঠে নেই। কিন্তু তাদের ভোট আমার বাক্সেই পড়বে।
‘জামায়াত বলেন আর ইসলামী ঐক্য জোট বলেন ডানব্লকের যেসব ভোট সবই আমার বাক্সে পড়বে। সবাই আমার সঙ্গে আছে। ’
কেন্দ্র দখলের আশঙ্কা করে তিনি বলেন, এখন পরিস্থিতি শান্ত আছে। এ পরিস্থিতিতে ভোট হলে জয়ের ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদী। তবে কেন্দ্র দখল হলে সব শেষ।
নির্বাচনী অঙ্গীকারের বিষয়ে তিনি বলেন, আমি আগেও এখানকার মেয়র ছিলাম। এলাকার উন্নয়নে অনেক কাজ করেছি। আমার সময়ে যে উন্নয়ন হয়েছে তা আর কখনো হয়নি।
বাঁশখালীতে পৌরসভা নির্বাচনে ৪০জন সাধারণ কাউন্সিলর ও ১০জন সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করছেন। ২৩ হাজার ৭৯২জন ভোটার ১১টি কেন্দ্রে ভোট দেবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১১০৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৫
আরডিজি/আইএসএ/টিসি