চট্টগ্রাম: রাহনুমায়ে শরিয়ত ও তরিকত হজরতুলহাজ আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ তাহের শাহ মাদ্দাজিল্লুহুল আলী ও আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ হামেদ শাহ মাদ্দাজিল্লুহুল আলী চট্টগ্রাম পৌঁছেছেন। বুধবার বেলা ১টা ১০ মিনিটে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারযোগে নগরীর জিইসি কনভেনশন সেন্টারে অবতরণ করেন।
হেলিকপ্টারে হজুর কেবলার সঙ্গে আসেন পিএইচপি গ্রুপের চেয়ারম্যান সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, আনজুমান-এ-রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের সহসভাপতি মোহাম্মদ মহসিনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
হুজুর কেবলাদের অংশগ্রহণে খানকা শরিফে মাগরিব থেকে এশা পর্যন্ত গেয়ারভি শরিফ অনুষ্ঠিত হবে। আনজুমান-এ-রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনায় হুজুর কেবলা শুক্রবার (২৫) ডিসেম্বর জশনে জুলুসে ছদারত করবেন।
ওই দিন সকাল আটটায় বন্দরনগরী চট্টগ্রামের ষোলশহর আলমগীর খানকা থেকে জুলুস বের হবে। বিবিরহাট, মুরাদপুর, মির্জারপুল, কাতালগঞ্জ, চকবাজার, চন্দনপুরা, দিদার মার্কেট, সিরাজুদৌলা সড়ক হয়ে আন্দরকিল্লা, মোমিন রোড, চেরাগি পাহাড়, জামালখান, গণি বেকারি প্রদক্ষিণ করে পুনরায় চকবাজার, কাতালগঞ্জ, মুরাদপুর, বিবিরহাট হয়ে জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে আসবে। এরপর মাহফিল ও জুমার নামাজের পর মোনাজাত হবে।
শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে শুক্রবার জুমার নামাজের কারণে জুলুছে সড়ক প্রদক্ষিণ পরিসর ছোট করা হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। আয়োজকরা আশা করছেন এবার ৩০ লক্ষাধিক নবী প্রেমিক জুলুছে অংশ নেবেন।
আনজুমান ট্রাস্টের মহাসচিব মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, চট্টগ্রামে হুজুর কেবলার সফরসূচি চূড়ান্ত এবং জশনে জুলুসের সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৫
এআর/টিসি
** আল্লামা তাহের শাহ চট্টগ্রাম আসছেন
** মিলাদুন্নবী সরকারিভাবে উদযাপনের দাবি