ঢাকা, মঙ্গলবার, ২১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৪ জুন ২০২৪, ২৬ জিলকদ ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘স্যালাইন বা বিশ্রামের রোগে অ্যান্টিবায়োটিক খেয়ে ফেলি’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১৬
‘স্যালাইন বা বিশ্রামের রোগে অ্যান্টিবায়োটিক খেয়ে ফেলি’ ‘স্বাস্থ্য সচেতন হোন, চিকিৎসা খরচ কমান’ শীর্ষক বক্তব্য দেন ড. সুজাতা মুখোপাধ্যায়

স্যালাইন বা বিশ্রামে সারিয়ে তোলা যায় এমন রোগেও অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্যবিষয়ক লেখিকা ড. সুজাতা মুখোপাধ্যায়।

চট্টগ্রাম: স্যালাইন বা বিশ্রামে সারিয়ে তোলা যায় এমন রোগেও অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্যবিষয়ক লেখিকা ড. সুজাতা মুখোপাধ্যায়।

মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) গ্রন্থবিপণি বাতিঘরে ‘স্বাস্থ্য সচেতন হোন, চিকিৎসা খরচ কমান’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচকের বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বাতিঘর ও অঙ্কুর প্রকাশনী এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।  

ড. সুজাতা বলেন, আমরা সামান্য ডায়রিয়া হলে অ্যান্টিবায়েটিক খেয়ে ফেলি, কিংবা শরীর ভালো হয়ে গেলে ডাক্তারের দেওয়া অ্যান্টিবায়োটিক কোর্স শেষ না করেই ওষুধ খাওয়া বন্ধ করে দিই।

এর ফলে শরীর থেকে জীবাণুটা সম্পূর্ণভাবে নিঃশেষ হয় না এবং পরবর্তীতে আরও বড় ঝুঁকির কারণ দেখা দেয়। অথচ এই রোগ আমরা চাইলেই স্যালাইন বা একটু বিশ্রামের মাধ্যমেই সারিয়ে তুলে ফেলতে পারি।

স্ট্রেস হয়ে যাওয়া নিয়ে তিনি বলেন, স্ট্রেস হলেই আমরা সিগারেট, মদ ইত্যাদি অস্বাস্থ্যকর খাবার-পানীয় গ্রহণ করি। আবার খাওয়া দাওয়ার অনিয়ম বা ঘুমের ঘাটতি ইত্যাদি কারণে শরীরে নানা সমস্যা দেখা দেয়। তাই আমরা যদি আমাদের বদ অভ্যাসগুলো ভালো অভ্যাসে পরিণত করতে পারি তবে নিজেরাই উপকৃত হবো। আবার অনেক সময় রাগের মাথায় অনেক কিছু বলে ফেলি বা করে ফেলি সেক্ষেত্রে নিজের মনকে সংযত করতে হবে। ঐ জায়গায় আমি হয়ে কি করতাম এ ধরনের মানসিকতা তৈরি করতে হবে। রাগকে হজম করার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।

স্বাস্থ্য সম্পর্কে অসচেতনতাই আমাদের রোগ-ব্যাধির মূল কারণ উল্লেখ করে ড. সুজাতা বলেন, ছোটখাটো যেকোনো রোগের চিকিৎসা নেওয়ার জন্যই আমরা ডাক্তারের শরণাপন্ন হই। কিন্তু আমরা যদি একটু সচেতন হই তাহলে ঘরে বসেই আমরা নিজেদের রোগ-ব্যাধি সারিয়ে তুলতে পারি।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন মুক্তিযোদ্ধা ও গবেষক ডা. মাহফুজুর রহমান, বিস্তারের কর্ণধার আলম খোরশেদ ও অ্যাডভোকেট জানে আলম। স্বাগত বক্তব্য দেন অঙ্কুর প্রকাশনীর পরিচালক মেজবাহ উদ্দীন আহমেদ।

বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৬

এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।