শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) বিকেলে নগরীর সার্কিট হাউসে অনুষ্ঠিত ‘উন্নয়ন মেলা-২০১৭’ এর প্রস্তুতিমূলক পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে সারাদেশে এক যোগে ৯ থেকে ১১ জানুয়ারি এই মেলা অনুষ্ঠিত হবে।
জেলা প্রশাসক মো. সামসুল আরেফিনের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পবন চৌধুরী বলেন, ‘বিভিন্ন সরকারি অফিস আছে-যেখানে জনগণ হয়রানির শিকার হচ্ছে।
উন্নয়ন মেলার বিষয়ে এই সচিব বলেন, ‘এই মেলার মূল উদ্দেশ্যে হচ্ছে সরকারের বিভিন্ন বিভাগ, মন্ত্রণালয় ও সংস্থার কর্মকাণ্ড জনগণকে অবহিত করা। পাশাপাশি এসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে গণমানুষের সম্পর্ক স্থাপন করা। ’
পবন চৌধুরী এই মেলাকে ইগো বিসর্জনের মাধ্যম হিসেবে অবহিত করে বলেন, ‘এই মেলার মাধ্যমে জনগণের খুব কাছাকাছি যাওয়া যায়। তাই আমি মনে করি এটি আমাদের ইগো বিসর্জনের অন্যতম বড় সুযোগ। ’
পবন চৌধুরী তার বক্তব্যে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে চট্টগ্রামের অবদানের কথা তুলে ধরেন। পাশাপাশি চট্টগ্রামে যেসব উন্নয়ন কর্মকাণ্ড হচ্ছে তার বিবরণ তুলে ধরেন।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, আমরা আমাদের সকল প্রস্তুতি সম্নন্ন করেছি। জনগণকে সেবা পাবার বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে এই মেলা।
উল্লেখ্য ৯ জানুয়ারি থেকে চট্টগ্রামে শুরু হওয়া তিন দিনব্যাপী এই মেলায় বিভিন্ন সংস্থার ৯০টি স্টল থাকবে। এসব স্টলে সরকারের নানা উন্নয়ন ও বিভিন্ন সংস্থার উদ্ভাবন করা সামগ্রী উপস্থাপন করা হবে। প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে শুরু হবে এই মেলা। চলবে রাত ১০টা পর্যন্ত। প্রতিদিন বিকেলে অনুষ্ঠিত হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
সভায় বিভিন্ন উপজেলার নির্বাহী অফিসারসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০১৬
টিএইচ/টিসি