ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৭ মে ২০২৪, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

আইনজীবীদের বর্জনের মধ্যে আদালতের রায়

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭২২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৯, ২০১৭
আইনজীবীদের বর্জনের মধ্যে আদালতের রায়

চট্টগ্রাম: আইনজীবীদের বর্জন আন্দোলনের মধ্যে চট্টগ্রামের একটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল থেকে একটি মামলার রায় এসেছে। সোমবার (০৯ জানুয়ারি) সকালে ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মো.সেলিম মিয়া এই রায় দিয়েছেন।

জানতে চাইলে জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এস এম জাহেদ বীরু বাংলানিউজকে বলেন, যতটুকু জেনেছি বিচারক পুরনো একটি মামলায় নিজের চেম্বার থেকে রায় ঘোষণা করেছেন।   প্রকাশ্য এজলাস থেকে রায় দেননি।

  তারপরও আন্দোলনের মধ্যে রায় কিভাবে এল সেটি আমরা খতিয়ে দেখছি।  

অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের দুই বিচারককে চট্টগ্রাম থেকে প্রত্যাহারে গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর এক সপ্তাহের সময় বেধে দিয়েছিল আইনজীবী সমিতি।

  কিন্তু তাদের প্রত্যাহার করে না নেয়ায় আদালত দুটি বর্জন শুরু করে আইনজীবী সমিতি।

অভিযুক্ত দুই বিচারক হলেন চট্টগ্রামের প্রথম ও দ্বিতীয় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক রফিকুল ইসলাম ও মো.সেলিম মিয়া।

ট্রাইব্যুনালের পিপি অ্যাডভোকেট এম এ নাসের বাংলানিউজকে জানান, যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে মারধরের একটি মামলায় মো.ইকবাল হায়দার নামে একজনকে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

দণ্ডিত ইকবাল হায়দার বর্তমানে পলাতক আছেন।   নগরীর হালিশহর আবাসিক এলাকার বাসিন্দা ইকবাল হায়দার সন্দ্বীপ উপজেলার হারামিয়া ইউনিয়নের বখতেয়ারহাট এলাকার গোলাম মোস্তফার ছেলে।

ইকবাল বিয়ে করেছিলেন নগরীর ডবলমুরিং থানার উত্তর আগ্রাবাদের হাজীপাড়ার ‌আইনূল হকের মেয়ে নাসিমা আক্তারকে (৩০)।  

২০১৩ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর এক লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে মারধরের অভিযোগে ইকবালের বিরুদ্ধে নাসিমা আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় ২০১৪ সালের ৮ সেপ্টেম্বর আসামির বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১১ (গ) ধারায় অভিযোগ গঠন করেন আদালত।   রাষ্ট্রপক্ষ তিনজন সাক্ষী আদালতে উপস্থাপন করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০১৭

আরডিজি/আইএসএ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।