ঢাকা, শনিবার, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৪ মে ২০২৪, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

পদদলন: তদন্তে এককভাবে কারও দায় পায়নি পুলিশ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৭
পদদলন: তদন্তে এককভাবে কারও দায় পায়নি পুলিশ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম: প্রয়াত রাজনীতিক এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর কুলখানিতে পদদলনের শিকার হয়ে হতাহতের ঘটনায় এককভাবে কাউকে দায়ী করেনি সিএমপির গঠিত তদন্ত কমিটি।  কমিউনিটি সেন্টারের নির্মাণ ত্রুটি, আয়োজকদের অব্যবস্থাপনা, পুলিশ-স্বেচ্ছাসেবক এবং কুলখানিতে আসা লোকজন সবারই এই দুর্ঘটনার জন্য দায় আছে, এমনটাই তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রবেশপথের ত্রুটি না সারানো পর্যন্ত রীমা কমিউনিটি সেণ্টারের কার্যক্রম বন্ধ রাখাসহ কয়েক দফা সুপারিশ করা হয়েছে তদন্ত প্রতিবেদনে।

বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) রাতের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদনটি সিএমপি কমিশনারের কার্যালয়ে জমা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কমিটির প্রধান নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) এস এম মোস্তাইন হোসেন।

‘দুর্ঘটনার জন্য কোন ব্যক্তিবিশেষ কিংবা এককভাবে কারো দায় আমরা তদন্তে পাইনি।   তবে কমিউনিটি সেন্টারের মূল প্রবেশপথের পরে যে খাদটা আছে সেটার জন্য দুর্ঘটনা ঘটেছে।

  আর আয়োজক যারা ছিলেন তাদেরও একটা ব্যর্থতা আছে।   তারা এত মানুষের সমাগম হবে সেটা আগে থেকে বুঝতে পারেননি এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেননি। ’

‘যারা প্রয়াত এই নেতাকে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছিলেন তারা কোনভাবেই সচেতন ছিলেন না।   তাদের সামলাতে পারেননি পুলিশ এবং স্বেচ্ছাসেবকরা।   তবে আরো পুলিশ যদি মোতায়েন করা যেত তাহলে হয়ত ক্ষয়ক্ষতিটা একটু কম হত।   সামগ্রিকভাবে পুলিশ অনেক চেষ্টা করেছে।   এসব বিষয়ই তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছি। ’ বাংলানিউজকে বলেন এস এম মোস্তাইন হোসেন

প্রতিবেদনে সুপারিশের মধ্যে কী থাকছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রধান সুপারিশ হচ্ছে রীমা কমিউনিটি সেন্টার কর্তৃপক্ষ যতদিন পর্যন্ত প্রবেশপথ ঠিক না করবে ততদিন সেটা বন্ধ থাকতে হবে।   এছাড়া যে কোন বড় ধরনের আয়োজনের ক্ষেত্রে লোকসমাগমসহ সার্বিক বিষয়ে আয়োজকদের প্রস্তুতি থাকা এবং পুলিশকে প্রয়োজনীয় তথ্য দেওয়া।   আরো কয়েকটি সুপারিশ করা হচ্ছে।

গত ১৪ ডিসেম্বর গভীর রাত ৩টায় নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী।   ১৮ ডিসেম্বর মহিউদ্দিনের কুলখানিতে তার পরিবার নগরীর বিভিন্ন কমিউনিটি সেন্টারে মেজবানের আয়োজন করে।

কুলখানিতে নগরীর এস এস খালেদ সড়কে রীমা কমিউনিটি সেন্টারে পদদলিত হয়ে দশজনের মৃত্যু হয়।  আহত হন ২৫জন।  ঘটনার পর পর তিন সদস্য বিশিষ্ট এই তদন্ত কমিটি গঠন করেন পুলিশ কমিশনার।

নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) এস এম মোস্তাইন হোসেনের নেতৃত্বে কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন-নগর বিশেষ শাখার অতিরিক্ত উপকমিশনার জসিম উদ্দিন এবং নগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার (দক্ষিণ) কাজল কান্তি নাথ।

বাংলাদেশ সময়: ০৬৫৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৭

আরডিজি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।