চট্টগ্রাম: সড়কের নিচে একটা নালা, প্রায় ১০ ফুট প্রশস্ত। গভীরতা ৭০ ফুট।
সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
এর আগে, রাত সাড়ে ১০টার দিকে ওই এলাকায় নালায় পড়ে যান তিনি।
সাদিয়া নগরের হালিশহরের বড়পোল এলাকার মোহাম্মদ আলীর মেয়ে।
জানা গেছে, ডুবুরি টিম প্রথমে নালায় নেমে তল্লাশি করে। কিন্তু তাকে পাওয়া যায়নি। এরপর ক্রেন নিয়ে যাওয়া হয়। ক্রেন দিয়ে আবর্জনা অপসারণ শুরু হয়। একপর্যায়ে সিটি করপোরেশনের আরেকটি ক্রেনও ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজে যোগ দেয়। ততক্ষণে ওই সড়ক এবং আশপাশের এলাকায় কয়েক হাজার মানুষ জড়ো হয়ে যায়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সঙ্গে স্থানীয় তরুণরাও আবর্জনা অপসারণে যোগ দেন। প্রায় ৪ ঘণ্টা পর নিখোঁজ হওয়ার স্থান থেকে ৩০ গজ দূরে ওই ছাত্রীর মরদেহ পাওয়া যায়।
ফায়ার সার্ভিসের চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক ফারুক হোসেন বলেন, সড়কের নিচে একটা নালা প্রায় ১০ ফুট প্রশস্ত। আবার এর ভেতরে আরেকটা নালা পাওয়া যায়, সেটাও ৮ থেকে ১০ ফুট প্রশস্ত। সম্ভবত ৫০-৬০ বছর আগে সড়ক উঁচু করার সময় অপরিকল্পিতভাবে সে নালা রেখেই আরেকটি নালা করা হয়। আগের সে নালা ময়লা-আবর্জনায় পরিপূর্ণ। কমপক্ষে সেখানে ৩ টন আবর্জনা জমে আছে। অনেক চেষ্টা করেও ডুবুরি সেখানে যেতে পারেনি। সেটা আবার টার্ন নিয়েছে কর্ণফুলী নদীর দিকে। দুই ক্রেন মিলে আমরা সে নালার স্ল্যাব উঠিয়ে ১ টনের মতো আবর্জনা-মাটি অপসারণ করি। পরে ৭০ ফুট গভীরে থেকে আমরা তার মরদেহ উদ্ধার করি।
ফায়ার সার্ভিসের বরাত দিয়ে নগরের ডবলমুরিং থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাসুদ রানা জানান, নিহতের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সাদিয়া চশমা কিনে মামার সঙ্গে বাসায় ফেরার সময় ওই নালায় পড়ে যান। ভাগনিকে উদ্ধারের জন্য মামা সঙ্গে সঙ্গে নালায় লাফ দেন। কিন্তু ব্যর্থ হন।
গত ২৫ আগস্ট বৃষ্টির মধ্যে চট্টগ্রাম নগরীর মুরাদপুরে নালায় পড়ে নিখোঁজ হন সালেহ আহমদ নামে এক সবজি বিক্রেতা। এক মাসেও তার খোঁজ মেলেনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২১
জেডএ