ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

পেছালো কোকেন চোরাচালান মামলার চার্জগঠন 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০২১
পেছালো কোকেন চোরাচালান মামলার চার্জগঠন  ফাইল ছবি

চট্টগ্রাম: বন্দরে কোকেন জব্দের ঘটনায় চোরাচালান মামলার চার্জগঠন পিছিয়েছে। আগামী ১০ নভেম্বর এ মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ নির্ধারণ করেছেন আদালত।

 

সোমবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ তৃতীয় মো. জসিম উদ্দিনের আদালত এ আদেশ দেন।  

বাংলানিউজকে এ তথ্য জানিয়েছেন চতুর্থ অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের বেঞ্চ সহকারী ওমর ফুয়াদ।

 

আদালত সূত্রে জানা যায়, বহুল আলোচিত কোকেন চোরাচালান মামলার অভিযোগপত্র  গত ২০২০ সালের ২৫ জুন চট্টগ্রাম চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রসিকিউশন শাখায় জমা দেন। র্যা ব-৭ এর তৎকালীন তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুকী মামলাটি তদন্ত করেন। অভিযোগপত্রটি চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে দাখিল করা হলে  পলাতক আসামিদের নাম উল্লেখ করে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। সোমবার (২৫ অক্টোবর) ছিল মামলার চার্জ গঠনের তারিখ। মামলা নম্বর বিশেষ ট্রাইবুনাল ২০০/১৭।  

অভিযোগপত্রে অভিযুক্তরা হলেন, আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রামের খানজাহান আলী লিমিটেডের চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ ও তার ভাই মোস্তাক আহম্মদ, কসকো-বাংলাদেশ শিপিং লাইনসের ব্যবস্থাপক এ কে এম আজাদ, সিকিউরিটিজ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মেহেদী আলম, সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম, আবাসন ব্যবসায়ী মোস্তফা কামাল, প্রাইম হ্যাচারির ব্যবস্থাপক গোলাম মোস্তফা সোহেল, পোশাক রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান মণ্ডল গ্রুপের বাণিজ্যিক নির্বাহী আতিকুর রহমান, লন্ডনপ্রবাসী চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের ফজলুর রহমান ও মৌলভীবাজারের বকুল মিয়া।

মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরে কোকেন জব্দের ঘটনায় চোরাচালান মামলায় চার্জগঠনের তারিখ ছিল। আজকে নিয়মিত আদালত বসেনি। অন্য আদালতে শুনানি করা হলে আসামি পক্ষের সময় চাওয়ার কারণে আদালত চার্জ গঠন পিছিয়েছে। মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ আগামী ১০ নভেম্বর ধার্য্য করেছে আদালত।  

মামলা পরিচালনায় সময় সহযোগিতা করেন, অ্যাডভোকেট সাব্বির আহম্মেদ শাকিল, মো. আবু ঈসা, মো. সাহাব উদ্দিন ও সাফায়াত শাকির।  

এর আগে এই মামলায় ২০১৫ সালের ১১ নভেম্বর এজাহারভুক্ত আসামি নূর মোহাম্মদকে বাদ দিয়ে ৮জনের বিরুদ্ধে আদালতে মাদক আইনের অংশের অভিযোগপত্র জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা নগর গোয়েন্দা পুলিশের তৎকালীন সহকারী কমিশনার (দক্ষিণ) মো. কামরুজ্জামান। একই বছর ৭ ডিসেম্বর অভিযোগপত্রের গ্রহণযোগ্যতার ওপর শুনানি হয়। প্রধান আসামিকে বাদ দেওয়ায় ওই সময় অভিযোগপত্রটি গ্রহণ করেননি আদালত।  আদালত অভিযোগপত্র প্রত্যাখান করে তা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদ মর্যাদার একজন কর্মকর্তাকে দিয়ে অধিকতর তদন্তের জন্য র্যা ব-৭ কে দায়িত্ব দেন। এরপর আদালত ওই মামলায় চোরাচালানের ধারা সংযুক্তির নির্দেশ দেন।

২০১৭ সালের ২ এপ্রিল মাদক আইনের মামলায় নূর মোহাম্মদকে অভিযুক্ত করে চট্টগ্রাম চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সম্পূরক চার্জশিট দাখিল করেন র্যা ব কর্মকর্তা তৎকালীন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুকী। মামলাটি আদালতে সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ চলমান রয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ৭ জুন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে চট্টগ্রাম বন্দরে একটি কনটেইনার আটকের পর সিলগালা করে দেয় শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতর। পরে আদালতের নির্দেশে কনটেইনার খুলে ১০৭টি ড্রাম থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ঢাকার বিসিএসআইআর ও বাংলাদেশ ড্রাগ টেস্টিং ল্যাবরেটরিতে নমুনা পরীক্ষায় এতে তরল কোকেনের অস্তিত্ব ধরা পড়ে। এ ঘটনায় ২০১৫ সালের ২৭ জুন বন্দর থানায় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান খান জাহান আলী লিমিটেডের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ ও  তার ভাই গোলাম মোস্তফা সোহেলকে আসামি করে মাদক আইনে মামলা দায়ের করে পুলিশ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০২১ 
এমআই/টিসি
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।