ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

মিতু হত্যা মামলার ডকেট থেকে জবানবন্দি সরিয়ে রাখার দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০২১
মিতু হত্যা মামলার ডকেট থেকে জবানবন্দি সরিয়ে রাখার দাবি ছবি: বাংলানিউজ

চট্টগ্রাম: মাহমুদা খানম মিতু হত্যার ঘটনায় নিজের করা মামলায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন থেকে 
পরিকল্পিত ও উদ্দেশ্যপ্রণােদিতভাবে কিছু জবানবন্দি মামলার ডকেট থেকে সরিয়ে রাখা বা গােপন করার দাবি করে বাবুল আক্তারের পক্ষে আদালতে আবেদন করেন আইনজীবী শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী। বুধবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহনাজ রহমানের আদালতে আবেদনটির শুনানি হয়েছে।

পাঁচলাইশ থানার মামলা নম্বর- ১(৬)২০১৬ ও জিআর মামলা নম্বর-১৪৭/২০১৬।

আবেদনে বলা হয়, মামলার তদন্তের মধ্যবর্তী তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে তৎকালীন চট্টগ্রাম নগর গােয়েন্দা বিভাগের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার মাে. কামরুজ্জামান মামলায় মৃত মাহমুদা খানম মিতুর বাবা মােশাররফ হােসেন, মা শাহেদা মােশাররফকে ও নিকট আত্মীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়টি দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। কিন্তু মামলার সর্বশেষ তদন্তকারী কর্মকর্তা ফৌজদারি কার্যবিধির ১৭৩ ধারার প্রতিবেদনে কোথাও আগের তদন্তকারী কর্মকর্তা কর্তৃক মিতুর বাবা-মা ও নিকটাত্মীয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ, তাদের জবানবন্দি রেকর্ড বা তদন্তের কোথাও দাখিলীয় প্রতিবেদনে উল্লেখ করেননি বলে দাবি করেন।

মিতুর মা বাবা কিংবা নিকটাত্মীয়ের সাক্ষ্য গ্রহণ বা ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬১ ধারার বিধান মােতাবেক জবানবন্দি গ্রহণ করেন বলে দাবি করেন। মামলাকে ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য মহলবিশেষের নির্দেশে সর্বশেষ তদন্তকারী কর্মকর্তা সম্পূর্ণ পরিকল্পিত ও উদ্দেশ্যপ্রণােদিতভাবে তাদের জবানবন্দিগুলো মামলার ডকেট থেকে সরিয়ে রাখেন বা গােপন করেন বলে দাবি করেন। যা ন্যায়বিচার পরিপন্থী এবং তদন্তকারী কর্মকর্তার প্রতি অনাস্থার সৃষ্টি হয়। এমতাবস্থায় ন্যায়বিচারের স্বার্থে মামলার তৎকালীন তদন্তকারী কর্মকর্তা চট্টগ্রাম নগর গােয়েন্দা বিভাগের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার মাে.কামরুজ্জামান কর্তৃক মিতুর বাবা-মাসহ নিকটাত্মীয়দের ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬১ ধারা মােতাবেক জবানবন্দি গ্রহণের বিষয়ে সর্বশেষ তদন্তকারী কর্মকর্তা ছাড়া আগের অন্যান্য মহানগর গােয়েন্দা বিভাগ তৎকালীন তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পুলিশ পরিদর্শক কাজী রকিব উদ্দিন, সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার (ডিবি-দক্ষিণ) মাে. কামরুজ্জামান ও পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাে. মঈন উদ্দিনের কাছ থেকে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬১ ধারা মােতাবেক জবানবন্দি গ্রহণের বিষয়ে কর্মকর্তাগণের কাছ থেকে প্রতিবেদন তলবের আদেশের আবেদন করা হয়।  

আবেদনের বিষয়ে বাবুল আক্তারের আইনজীবী চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, আদালত বলেছেন, এই পর্যন্ত এসে এই দরখাস্ত করার সুযোগ নেই। আদালত নামঞ্জুর করেছেন। এই আবেদনে আজকে আদালতে সুবিধা না হলে হাইকোর্টে সুবিধা পাব।  

২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে নগরের পাঁচলাইশ থানার জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয় মিতুকে। হত্যাকাণ্ডের পর নগরের পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাত পরিচয়ের কয়েকজনকে আসামি করে একটি মামলা করা হয়, যার বাদী ছিলেন সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার নিজেই। গত ১২ মে মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামি করে আরেকটি মামলা করেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০২১ 
এমআই/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।