ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতা দখলের ষড়যন্ত্র হচ্ছে: নাছির

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০২২
পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতা দখলের ষড়যন্ত্র হচ্ছে: নাছির ...

চট্টগ্রাম: নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব এবং দেশকে বিপন্ন করে পেছনের দরজার দিয়ে ক্ষমতা দখলের ষড়যন্ত্র হয়েছে, হচ্ছে এবং হবেই। যতদিন পর্যন্ত অপশক্তিকে রাজনৈতিকভাবে, সামাজিকভাবে আমরা নির্মূল করতে না পারব ততদিন পর্যন্ত আশঙ্ক্ষা থেকেই যাবে।

এ আশঙ্কা দূর করার জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথে থাকতে হবে।

সোমবার (২৪ জানুয়ারি) সকালে পুরাতন বাংলাদেশ ব্যাংকসংলগ্ন আদালত ভবনের পাদদেশে ১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি গণহত্যার শহীদদের স্মরণ বেদীতে চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় কথাগুলো বলেন তিনি।

 

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, সামরিক স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন যখন তুঙ্গে ২৪ জানুয়ারি তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে সামরিক স্বৈর সরকারের প্ররোচনায় পুলিশ বাহিনী নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করে ২৪ জন নেতাকর্মীকে হত্যা করে। এই গণহত্যা ছিল পূর্ব পরিকল্পিত। আজ ৩৪ বছর পর বিলম্বিত বিচারে দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত হওয়ায় শহীদদের আত্মা ও তাদের পরিবারদের মাঝে শান্তি ও স্বস্তি নেমে এসেছে। এই বিচার প্রক্রিয়া দ্রুত হতে পারত। কিন্তু সামরিক স্বৈর সরকার এবং বেগম জিয়া রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ক্ষমতাসীন থাকার সময় উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে চট্টগ্রাম গণহত্যার বিচার প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করতে চেয়েছিল। আমরা জানি সামরিক স্বৈরাচার ও বিএনপি জামায়াত জোট সরকারের আমলে এদেশে কলঙ্কিত গণহত্যাগুলো সংঘটিত হয়। তাদের প্ররোচনায় এদেশে জঙ্গিবাদ ও মৌলবাদী শক্তির উত্থান ঘটে। তাদের ব্যবহার করে ২০০৪ সালের একুশে আগস্ট তারেক জিয়ার হাওয়া ভবন থেকে গাইডলাইন অনুযায়ী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গ্রেনেড হামলা করা হয়। সেদিন শেখ হাসিনা অলৌকিকভাবে বেঁচে গেলেও ২৬ জন নেতাকর্মীকে প্রাণ দিতে হয়েছে। অনেক নারকীয় হত্যাকাণ্ডের বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে এবং তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি হওয়ার পর তা কার্যকর হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। আমি এসব নারকীয় ঘটনার দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দ্রুত কার্যকর করার দাবি জানাই।  

নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রাম গণহত্যা ঔপনিবেশিক আমলে জালিয়ানওয়ালাবাগ গণহত্যার কথা মনে করিয়ে দেয়। ঐ গণহত্যার ঘটনায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ব্রিটিশ সরকারের দেওয়া নাইট উপাধি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। চট্টগ্রাম গণহত্যার পর ২৪টি মূল্যবান প্রাণহানি হলেও নানাভাবে বিচার প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করা হয়েছে। এটা আমাদের কাছে লজ্জা ও ঘৃণার বিষয়। অবশেষে চট্টগ্রাম গণহত্যার বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে এবং দোষীদের ফাঁসির রায় রয়েছে। বাংলাদেশে যারা হত্যা, নাশকতা, সন্ত্রাস ও মৌলবাদ এবং জঙ্গিবাদকে প্রশ্রয় ও ইন্ধন দেয় তারা জাতির দুশমন। এরা আমাদের আশেপাশেই আছে। তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তার রূপকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সব প্রতিবন্ধকতা দূর করতে হবে।  

আলোচনা সভার শুরুতে শহীদের স্মরণে ১ মিনিট নীরবতা পালন ও সভা শেষে চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের নেতৃত্বে চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ ২৪ জানুয়ারির শহীদদের স্মরণ বেদীতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন।

নগর আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরীর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী, উপদেষ্টা সফর আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুক, দফতর সম্পাদক সৈয়দ হাসান মাহমুদ শমসের, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক চন্দন ধর, শ্রম সম্পাদক আব্দুল আহাদ, নির্বাহী সদস্য বখতিয়ার উদ্দীন খান, মহব্বত আলী খান, পেয়ার মোহাম্মদ, সাইফুদ্দিন খালেদ বাহার ও মো. বেলাল আহমদ প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০২২
এমআই/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।