ঢাকা, শুক্রবার, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ০৩ মে ২০২৪, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সিআরবির ডাবল মার্ডার মামলায় ২৫ মে সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৫ ঘণ্টা, মার্চ ৩, ২০২২
সিআরবির ডাবল মার্ডার মামলায় ২৫ মে সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য  প্রতীকী ছবি

চট্টগ্রাম: নগরের কোতোয়ালী থানার সিআরবি’র জোড়া খুন মামলায় ৬৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গঠন শেষে আগামী ২৫ মে সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেছেন আদালত। মামলাটি দীর্ঘ তদন্ত করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তদন্তে ঘটনার সঙ্গে ১৬ জনের জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

১৬ জন ঘটনাস্থলে থাকার এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার বস্তুনিষ্ঠ সাক্ষ্য-প্রমাণও পায়নি পিবিআই।  

সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিনের আদালতে ৫৯ জনের উপস্থিতিতে অভিযোগপত্র গঠন সম্পন্ন হয়।

শুনানির সময় ৫ জন আসামি সময়ের আবেদন ও ৫৪ জন আসামির পক্ষের আইনজীবীরা অব্যাহতির আবেদন করলেও আদালত তা নাকচ করে দেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, সম্পূরক অভিযোগপত্রে আসামির কলামে হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর, মো. আলমগীর টিপুসহ ১৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। কারণ মামলার আগের তদন্তকারী কর্মকর্তার জমা দেওয়া অভিযোগপত্রে তাদের অভিযুক্ত করেছিলেন। তাই পিবিআইয়ের তদন্তে কোনো সাক্ষ্য-প্রমাণ না থাকলেও আইনি বাধ্যবাধকতার কারণে ওই ১৬ জনের নাম রাখা হয়েছে। মামলার চার্জগঠন বা আনুষ্ঠানিক বিচার কার্যক্রম শুরুর সময় তাদের মামলা থেকে অব্যাহতি প্রদানের জন্য আদালতের কাছে সুপারিশও করা হয়েছে।  

মহানগর পিপি মুক্তিযোদ্ধা ফখরুদ্দিন চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, সিআরবি’র জোড়া খুন মামলার ৫৯ জন আসামির উপস্থিতিতে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। এ সময় ৫ জন আসামি সময়ের আবেদন করলে তা নামঞ্জুর করেন। এ ছাড়াও ৫৪ জন আসামি অভিযোগপত্র গঠনের সময় আসামিপক্ষের আইনজীবীরা অব্যাহতির আবেদন করেছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষের বিরোধিতার কারণে আদালত ৬৩ জনকেই অভিযুক্ত করে চার্জ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু হয়েছে। আগামী ২৫ মে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। অভিযোগপত্র গঠনের বিরুদ্ধে কেউ ক্ষুব্ধ হলে হাইকোর্টে রিভিশন করতে পারবে।  

আসামি পক্ষের আইনজীবী অশোক কুমার দাশ বাংলানিউজকে বলেন, প্রত্যেক আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গঠন করা হয়েছে। সেখানে অনেক আসামি ঘটনাস্থলে ছিলেন না। সেটা পিবিআইয়ের তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে, আদালত অভিযোগপত্র গঠন করেছে। সেটা নিয়ে আমরা ক্ষুব্ধ হয়েছি, এ বিষয়ে হাইকোর্টে রিভিশন করা হবে।  

২০১৩ সালের ২৪ জুন রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সদর দফতর সিআরবি এলাকায় কাজের দরপত্র নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান সাজু পালিত (২৪) ও স্থানীয় সিআরবি বস্তির শিশু আরমান (৮)। ঘটনার পর এসআই মহিবুর রহমান বাদী হয়ে ৮৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন। ঘটনার এক মাস পরে যুবলীগকর্মী সাজু পালিতের মা মিনতি পালিত বাদী হয়ে চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে হত্যা মামলা করেন। জোড়া খুনের বিষয়ে পুলিশ ও সাজু পালিতের মায়ের করা মামলা একসঙ্গে তদন্ত করে অভিযোগপত্র দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত।  

দুই দফা তদন্ত কর্মকর্তা বদলের পর ২০১৫ সালের ২৩ নভেম্বর প্রথম অভিযোগপত্র জমা দিয়েছির গোয়েন্দা পুলিশ। ওই অভিযোগপত্রে ৬২ জনকে আসামি এবং ৩৭ জনকে সাক্ষী করা হয়েছিল। অভিযোগপত্রটি গ্রহণ না করে ‘অধিক গুরুত্বে সঙ্গে’ তদন্ত করতে পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে পিবিআই দ্বিতীয় দফায় অভিযোগপত্র জমা দেয়। যাতে ৬৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। তার মধ্যে অমিত মুহুরী নামে একজন আসামি খুন হয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১০ ঘণ্টা, মার্চ ৩ , ২০২১
এমআই/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।