চট্টগ্রাম: চসিক মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, আমরা স্বাধীন বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তী পালন করছি কিন্তু এই সময়ের মধ্যেও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস লেখা সম্ভব হয়নি। দেশের স্বাধীনতা বিনির্মাণে বিভিন্ন আন্দোলনের পটভূমি ও ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলো সংরক্ষণে গাফিলতি দেখা যায়।
তাই স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস সম্বন্ধে নতুন প্রজন্মকে সঠিক জ্ঞান অর্জনে উৎসাহিত করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।
শনিবার (৫ মার্চ) বিকেলে নগরে এমএ আজিজ স্টেডিয়ামের জিমনেশিয়াম চত্বরে চসিক আয়োজিত একুশে বইমেলা মঞ্চে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র একথা বলেন।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলমের সভাপতিত্বে আলোচক ছিলেন নগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোজাফ্ফর আহমদ, মুক্তিযোদ্ধা গবেষণা পরিষদের চেয়ারম্যান ডা. মাহফুজুর রহমান, প্যানেল মেয়র আফরোজা কালাম। স্বাগত বক্তব্য দেন মেলা পরিষদের আহবায়ক ওয়ার্ড কাউন্সিলর ড. নিছার উদ্দিন আহমদ মঞ্জু।
উপস্থিত ছিলেন চসিক সচিব খালেদ মাহমুদ, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফুন নাহার, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম প্রমুখ।
মোজাফ্ফর আহমদ বলেন, মার্চ মাসের দ্রোহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ, ৭ মার্চের জগৎ বিখ্যাত ভাষণ, ২৬ মার্চের স্বধীনতা ঘোষণা ইত্যাদি কারণে বাংলাদেশের ইতিহাসে মহাকাব্যের স্বরূপ হিসেবে নির্ণয় করা হয় ১৯৭১ সালের মার্চকে। অন্যদিকে ২৫ মর্চের কালরাতের নৃশংস ঘটনা বাঙালি জাতির ললাটে এঁকে দেয় আমৃত্যু শোকের পীড়াধারা।
মোহাম্মদ শহীদুল আলম বলেন, স্বাধীনতা ও বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীতে মার্চ মাসের আখ্যানকে নতুন প্রজন্মের ছেলে-মেয়েদের সামনে সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে পারলে তারা ভবিষ্যৎ গড়ার ক্ষেত্র পাবে।
ড. নিছার উদ্দিন আহমদ বলেন, ইতিহাস অধ্যায়ন জরুরি। ইতিহাস মানুষকে শেখায়, বুঝতে সহযোগিতা করে, নিজেদের বিবেকবোধ জাগ্রত করে ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নিয়ে পরিকল্পনা করতে সহায়তা করে।
আলোচনা শেষে দেশাত্মবোধক একক সংগীত ও নৃত্য পরিবেশিত হয়। রোববার বইমেলা মঞ্চে পেশাজীবী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ সময়ঃ ২০৪২ ঘণ্টা, মার্চ ০৫, ২০২২
এআর/টিসি