চট্টগ্রাম: বন্দরে মিথ্যা ঘোষণায় উচ্চ শুল্কের সিগারেট আমদানি করে সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে পণ্য খালাস ও ১০৫ কোটি ৯ লাখ ৯৩ হাজার ৭০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে চট্টগ্রাম কাস্টমসের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ ৩১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
শনিবার (৫ মার্চ) দুপুরে দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ প্রধান কার্যালয়ের বিশেষ অনুসন্ধান ও তদন্ত-১ এর উপ পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম বাদি হয়ে মামলা ৩টি দায়ের করেন।
এজাহারে ২০১৮ সালের বিভিন্ন সময়ে জালিয়াতি ও শুল্ক ফাঁকির ঘটনা ঘটেছে বলে উল্লেখ করা হয়।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, একটি মামলায় জিপার ও চায়নিজ নিউ টায়ার ঘোষণা দিয়ে উচ্চ শুল্কের সিগারেট আমদানি, জালিয়াতির মাধ্যমে খালাস করে ১৬ কোটি ১৪ লাখ ৩৭ হাজার ৭৫০ টাকা রাজস্ব আত্মসাৎ করা হয়েছে।
আরেক মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, আসামিরা অসৎ উদ্দেশ্যে অন্যায়ভাবে লাভবান হওয়ার অভিপ্রায়ে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে ৫টি পণ্য চালানে মিথ্যা ঘোষণায় উচ্চ শুল্কহারযুক্ত পণ্য সিগারেট আমদানি ও খালাসপূর্বক সরকারী রাজস্ব ৫৬ কোটি ৬৮ লাখ ৫৩ হাজার ৯৭৫ টাকা আত্মসাৎ করে।
এ মামলায় মেসার্স জারার এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী মাহবুবুর রহমান, সিএন্ডএফ এজেন্ট মেসার্স চাকলাদার সার্ভিসের মো. হাবিবুর রহমান অপু , গ্রাহক মো. আব্দুল গোফরান, হামীম গ্রুপের কম্পিউটার অপারেটর মো. জহুরুল ইসলাম, গ্রাহক আবুল কালাম, কাস্টম হাউজের প্রাক্তন সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা সাইফুন্নাহার জনি, প্রাক্তন রাজস্ব কর্মকর্তা হাবিবুল ইসলাম, রাজস্ব কর্মকর্তা সুলতান আহম্মদ, কম্পিউটার অপারেটর ফিরোজ আহমেদ, উচ্চমান সহকারী আব্দুল্লাহ আল মাছুম ও অফিস সহায়ক সিরাজুল ইসলামকে আসামি করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধেও একই ধারায় মামলা করা হয়।
অন্য মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, পোশাক কারখানার বাটন ও সেফটি পিন ঘোষণা নিয়ে উচ্চ শুল্কের সিগারেট আমদানি ও খালাস করে ৩২ কোটি ২৭ লাখ এক হাজার ৬৪৫ টাকা রাজস্ব আত্মসাৎ করে। এ মামলায় আমদানিকারক মো. সালাউদ্দিন টিটো, সিঅ্যান্ডএফ অ্যাজেন্ট মেসার্স চাকলাদার সার্ভিসের মালিক হাবিবুর রহমান চাকলাদার, আবুল কামাল, সহকারী প্রোগ্রামার কামরুল হক, রাজস্ব কর্মকর্তা সুলতান আহমদ, কম্পিউটার অপারেটর ফিরোজ আহমেদ, তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী আবদুল আল মাছুম ও অফিস সহায়ক সিরাজুল ইসলামকে আসামি করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪০ ঘণ্টা, মার্চ ০৫, ২০২২
এমআই/টিসি