চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: ভারতে সংবিধান দিবস পালন করা হয়। তারা রামজি আম্বেদকারের জন্মদিনে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংবিধানের ওপর পাঠদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) সকাল ১০টায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) আইন অনুষদ মিলনায়তনে আইন বিভাগ ও একে খান ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে 'বাংলাদেশের সংবিধান: সংশোধন ও বিকাশ' বিষয়ক আইন বক্তৃতায় এসব কথা বলেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।
চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীন আখতারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দে এবং একে খান ফাউন্ডেশনের ট্রাস্টি সেক্রেটারি সালাউদ্দিন কাশেম খান।
বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, সর্বমোট ১৭টি সংশোধনীর মাধ্যমে বাংলাদেশের সংবিধানকে যুগোপযোগী করার চেষ্টা চলছে। তবে সব সংশোধন ভালো উদ্দেশ্যে হয়নি। জেনারেল জিয়াউর রহমান এবং হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদের সময়ে নিজেদের শাসনকে বৈধ করার জন্য সংশোধনী আনা হয়। ৪র্থ সংশোধনীর মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির হাতে পুরো রাষ্ট্রক্ষমতা প্রদান করা হয়৷ তখন বিচারপতি নিয়োগ থেকে শুরু করে সকল ক্ষমতা একক নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। সংবিধানের ৫ম সংশোধনী দিয়ে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ড জায়েজ করা হয়। তাঁর হত্যাকারীদের যাতে বিচার না হয় সেই ব্যবস্থা করা হয়। আবার ৭ম সংশোধনী দিয়ে সামরিক সরকারের ক্ষমতা তৈরি করে দেওয়া হয়। এ দুটি সংশোধনী বাংলাদেশের ইতিহাসে নেতিবাচক পথের উন্মোচন করে দেয়।
ওবায়দুল হাসান আরও বলেন, শহীদদের প্রতি ফোঁটা রক্তের সমন্বয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধান প্রণীত হয়েছে। স্বাধীনতা অর্জনের পরপরই সংবিধান তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হয়। তবে আমরা সংবিধান তৈরির প্রতিটি প্রক্রিয়া এবং আর্কাইভ যথাযথভাবে সংরক্ষণ করতে পারিনি।
চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীন আখতার বলেন, দেশ সম্পর্কে জানতে হলে আগে আমাদের দেশের সংবিধান জানা প্রয়োজন। আমাদের সবারই আইন ও সংবিধানের ওপর বিস্তৃত জ্ঞান রাখা উচিত।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এসএম মনিরুল হাসান, আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক এবিএম আবু নোমান, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. সেলিনা আখতার, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. সজীব কুমার ঘোষ এবং আইন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. সাজেদা আক্তার।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০২২
এমএ/টিসি