ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৮ আষাঢ় ১৪৩১, ০২ জুলাই ২০২৪, ২৪ জিলহজ ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ইফতারের অনুষঙ্গ লেবু-শসার বাজারেও নেই স্বস্তি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩, ২০২২
ইফতারের অনুষঙ্গ লেবু-শসার বাজারেও নেই স্বস্তি ছবি: বাংলানিউজ

চট্টগ্রাম: সারাদিন রোজা রাখার পর তৃষ্ণার্ত হৃদয়ে এক গ্লাস লেবুর শরবত যেন মরুভূমিতে এক পশলা বৃষ্টি। তীব্র গরমে দিন শেষে ইফতারে এমন স্বস্তির পরশ পেতে চায় সব রোজাদারই।

 

কিন্তু এবার রমজানে ইচ্ছে থাকলেও কিনতে পারবেন না ইফতারের নিত্য অনুষঙ্গ লেবু। সাধারণ সময়ে যে লেবু প্রতি পিচ ৬-৮ টাকায় বিক্রি হতো সেটি প্রকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ১৫-২০ টাকায়।

 

শুধু লেবু নয় ইফতারের অত্যাবশ্যকীয় উপাদান শসা, গাজর, পুদিনা-ধনে পাতাও আছে দাম বৃদ্ধির তালিকায়।

এমনিতেই দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে সব নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য মধ্য ও নিম্নবিত্তের ক্রয়ক্ষমতার বাহিরে। সেখানে রোজায় ছোটখাটো এসব পণ্যের দাম বৃদ্ধি অস্বস্তিতে ফেলেছে সাধারণ ক্রেতাকে।  

নগরের বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, বড় সাইজের প্রতিটি লেবু কিনতে দিতে হবে ২০-২৫ টাকা, এছাড়া ছোট সাইজের লেবু হলে দাম পড়বে ১২-১৫ টাকা এবং মাঝারি সাইজের প্রতিটি লেবুর দাম ১৬-১৮ টাকা। অর্থাৎ বড় সাইজের এক হালি লেবু কিনতে হলে খরচ করতে হবে ১০০ টাকা। তাছাড়া ইফতারের আরেকটি উপাদান শসার দাম বেড়ে প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। যা সপ্তাহখানেক আগেও ছিল ৪০-৫০ টাকা।  

ধনেপাতা ২৫০ গ্রামের দাম ৩০ টাকা, ২০০ গ্রাম পুদিনা পাতার দাম পড়বে ৪০ টাকা, গাজর প্রতি কেজি কিনতে খরচ করতে হবে ৬০ টাকা।

সাধারণ ক্রেতারা বলছেন, রমজান এলেই একটি সিন্ডিকেট তৎপর হয়ে ওঠে। এমনিতেই নিত্যপণ্যের দামে ঊর্ধ্বগতি। তার ওপর ছোটখাট পণ্যগুলোর দাম বৃদ্ধি নতুন করে ভাবনার কারণ। মানুষ এতটাই অসহায়, চাইলেও ভালোভাবে ইফতার করতে পারবে না। সরকারের উচিত বাজারে মনিটরিং বাড়ানো।  

বিক্রেতারা বলছেন, ‘আমরা ইচ্ছে করে দাম বাড়াতে পারি না। অতিরিক্ত দামে কিনে আনতে হয় বলে বেশি দামে বিক্রি করি। আমাদের কিছু করার থাকে না’।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৩, ২০২২
এমআর/এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।