ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

নারী পাচারে সহায়তা না করায় স্ত্রীর ভ্রুণ হত্যার অভিযোগ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৩ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০২২
নারী পাচারে সহায়তা না করায় স্ত্রীর ভ্রুণ হত্যার অভিযোগ প্রতীকী ছবি

চট্টগ্রাম: চাকরির প্রলোভনে নিজের স্ত্রীসহ অসহায় নারীদের ফাঁদে ফেলে বিদেশে পাচারের চেষ্টা এবং তাতে রাজি না হওয়ায় ভ্রুণ হত্যার মাধ্যমে মাতৃত্বের স্বাদ থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগে এক স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন তার স্ত্রী।  

মঙ্গলবার (২৪ মে) সকালে চট্টগ্রাম সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কৌশিক আহম্মেদ খোন্দকারের আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়।

মামলায় অভিযুক্তরা হলেন- এসএম নাছির উদ্দীন, রফিক আহম্মদ ও মো. আলমগীর।  

মামলার এজাহারে বলা হয়, লোহাগাড়ার ওই নারীকে নিজেই পছন্দ করে গত ১৭ জুন ৬ লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য করে ইসলামি শরিয়তের বিধান মতে সামাজিকভাবে বিয়ে করেন নগরের লালদীঘির পাড়ের এক ট্রাভেল এজেন্টের মালিক এসএম নাছির উদ্দিন।

বিয়ের কিছু দিন পরেই জানা যায় নিজের এক স্ত্রী ঘরে রেখেই ওই নারীকে বিয়ে করেছেন তার স্বামী। তা ছাড়া স্ত্রীদের ছাড়াও স্বামী অন্য নারীদের বিচিত্র সঙ্গ পছন্দ করেন। পরনারীদের প্রেমেও আসক্ত। স্ত্রীকে বলেন, বিয়ে করেছেন নারীদের বিদেশে পাচারে সহযোগিতা পাওয়ার আশায়। এতে রাজি না হওয়ায় প্রথমে স্ত্রীকে অন্য বাসায় থেকে তার সঙ্গে সংসার করতে বাধ্য করেন স্বামী। পরবর্তীতে ওই নারী সন্তান সম্ভবা হলে গর্ভের সন্তানটি নষ্ট করে ফেলতে বলেন। নষ্ট না করলে বিয়ে বিচ্ছেদের হুমকি দেন। একদিন জ্বরের ওষুধের কথা বলে ওই নারীকে ভ্রুণ হত্যার ওষুধ খাইয়ে দেন তার স্বামী। প্রথমে বুঝতে না পারলেও কিছুদিন পরই ওই নারী বুঝতে পারেন তার গর্ভের সন্তানটি কৌশলে নষ্ট করে দিয়েছেন তারই স্বামী। এই বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আবারো বিয়ে বিচ্ছেদের হুমকি দেন স্বামী।  

মামলার বাদীর আইনজীবী গোলাম মাওলা মুরাদ বাংলানিউজকে বলেন, চাকরির নামে নিজ স্ত্রীসহ নারীদের বিদেশ পাচারের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে নিজের স্ত্রীকে ওষুধ খাইয়ে ভ্রুণ হত্যার অভিযোগে আদালতে একটি মামলা করা হয়েছে। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)  চট্টগ্রাম জেলাকে তদন্তের জন্য দিয়েছেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫১ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০২২
এমআই/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।