চট্টগ্রাম: বিএনপি আন্দোলনের নামে দেশে অরাজকতা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে। যদি তারা আবারো জ্বালাও পোড়াও, পুলিশের ওপর হামলা, জানমালের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করে তাহলে তাদের কিছুতেই রাজপথে নামতে দেওয়া হবে না।
সোমবার (২৯ আগস্ট) বিকেলে শোকাবহ আগস্ট মাসে জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচি পালনোপলক্ষে বন্দর থানা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে নিমতলা এসকে কনভেনশন সেন্টারে আলোচনা সভায় চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ মনেপ্রাণে শান্তি কল্যাণ ও স্থিতিশীলতায় বিশ্বাস করে। কিন্তু শান্তি ও স্থিতিশীলতা বিনষ্টকারী অপশক্তিকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করে। বিএনপির জন্ম ক্যান্টনমেন্ট। দলটির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যা পরবর্তী ক্ষমতা কুক্ষিগত করে এদেশে পাকিস্তানি এজেন্ডা বাস্তবায়ন করেছেন। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ইন্ধন, আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে এমনকি তাদের হত্যার দায় মুক্তিতে সংসদে বিল পাস করে ইতিহাসের জঘন্যতম খলনায়ক হিসেবে আবির্ভূত হন। জিয়া এদেশের রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের প্রথম পৃষ্ঠপোষক। দেশে যা কিছু অমঙ্গল, অবিচার, অন্যায় হয়েছে তিনি এসবের ইন্ধনদাতা। বঙ্গবন্ধু হত্যা ও ১৫ আগস্টের ট্র্যাজেডির মূল হোতা হচ্ছেন জিয়া। তাই তাকে নতুন প্রজন্মের কাছে খলনায়ক হিসেবে চিহ্নিত করার সময় এসেছে।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী বলেন, বিএনপি পরিকল্পিতভাবে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে আন্দোলনের নামে ধ্বংসাত্মক রাজনীতিতে লিপ্ত রয়েছে। আজ মানুষের মাঝে তারা আতঙ্ক ও ভয় সৃষ্টি করতে চায়। অতীতে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে তারা লুটপাট করেছে মানুষের অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে। এই অপশক্তিটি আমাদের স্বাধীনতা জাতীয় পতাকা ও জাতীয় সংগীত অন্তরে ধারণ করেন না। এরা একাত্তরের পরাজিত শক্তির প্রেতাত্মা। আন্দোলন যেকোনো দল করতে পারে, তবে তা যৌক্তিক ও গণতান্ত্রিক পন্থায় হতে হবে। কিন্তু আন্দোলনের নামে নাশকতা ও অরাজকতা আমরা কিছুতেই মেনে নেব না এবং রাজপথেই তার বিরুদ্ধে অবস্থান নেব।
বন্দর থানা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সুলতান আহমদের সভাপতিত্বে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইলিয়াছের সঞ্চালনায় আলোচনা বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নঈম উদ্দীন চৌধুরী, খোরশেদ আলম সুজন, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক জহুর আহমদ, ত্রাণ সমাজকল্যাণ সম্পাদক মো. হোসেন ও শ্রম সম্পাদক আব্দুল আহাদ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০২২
এমআই/টিসি
