চট্টগ্রাম: মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর একান্ত সচিব (পিএস) ও চসিকের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মুহাম্মদ আবুল হাসেমের বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভিযানে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত শারীরিক হেনস্তার অভিযোগ করেছেন পিসি রোডের ওয়ালী কার কালেকশনের মালিক বেলায়েত হোসেন।
উচ্ছেদ অভিযানের সময় পিএস আবুল হাসেমের নির্দেশে চসিকের নিরাপত্তাকর্মীরা তাকে টেনে ভবনের নিচে ফেলে দিলে পায়ের গোড়ালি চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে উল্লেখ করে তিনি বলেন, পরবর্তীতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতায় আমি প্রতিষ্ঠানের ভেতরে চলে আসলে তিনি ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নাগরিক হিসেবে আমি ওই অস্বস্তিকর পরিবেশে জরিমানার টাকা পরিশোধ করি এবং অতিশয় খারাপ অবস্থায় চিকিৎসকের শরণাপন্ন হই। আমার পায়ের টিস্যু ফ্র্যাকচার হয়ে অধ্যাবধি আমি চলাচল করতে পারছি না।
রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) মেয়র বরাবর চিঠি দিয়ে বিচার প্রার্থনা করেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী। এ সম্পর্কিত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। যাতে দেখা যায় চসিকের স্ট্রাইকিং ফোর্সের তিন-চারজন সদস্য ওই ব্যবসায়ীকে টেনে নিয়ে যাওয়ার সময় তিনি পায়ে ব্যথা পেয়ে বসে পড়েছেন।
নিজেকে সিআইপি মনোনীত ব্যক্তি উল্লেখ করে চিঠিতে বেলায়েত হোসেন বলেন, ২০১৮-২০২০ পর্যন্ত চসিকের রাস্তা ও ড্রেনের কাজ পরবর্তী কোভিডের কারণে ওই জায়গায় আমার পুরো ভবনের কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছিল। বিগত কয়েক মাস যাবত ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে কার্যক্রম শুরু করে আসছি। যেহেতু মূল রাস্তা থেকে ভবনটা কিছুটা উঁচু তাই আমদানি করা গাড়ি উঠানামার জন্য একটি অস্থায়ী লোহার র্যাম্প তৈরি করে আমার জায়গায় জড়ো করে রাখি। গাড়ি উঠানামার সময় ২-৩ মিনিট র্যাম্পটি সরকারি জায়গায় খোলা থাকে আবার জড়ো করে রাখি।
গত ২৯ আগস্ট চসিকের ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের সময় র্যাম্পটি তুলে নিতে চাইলে আমি মেয়রের পিএসকে সালাম দিয়ে জানতে চাই র্যাম্পটি যেহেতু আমার জায়গায় এবং জনগণের চলাচলে কোনো বিঘ্ন সৃষ্টি করছে না তাহলে কেন সেটি তুলে নেওয়া হচ্ছে। তিনি ভবনটি সিলগালা করে মামলা দেওয়ার হুমকি দেন। আমাকে তুলে নিতে নিরাপত্তাকর্মীদের নির্দেশ দেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর একান্ত সচিব (পিএস) ও চসিকের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মুহাম্মদ আবুল হাসেম বাংলানিউজকে বলেন, ওয়ালী কার কালেকশনের মালিক প্রথমে ভালো আচরণ করেছেন। জরিমানাও দিয়েছেন ২০ হাজার টাকা। শেষদিকে নিজেকে সিআইপি পরিচয় দিয়ে উত্তেজিত হয়ে যান। এ সময় স্ট্রাইকিং ফোর্স উনাকে শোরুমে ঢুকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে উনার তৈরি র্যাম্পে আটকে উনি ব্যথা পেয়েছেন। যা দুঃখজনক।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, পিসি রোড উদ্বোধনে মন্ত্রী মহোদয়ের কর্মসূচি থাকায় মেয়র মহোদয়ের নির্দেশে ওই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছিল। যাতে সড়কটি অবৈধ দখলমুক্ত করার পাশাপাশি নগরবাসীর চলাচলে বিঘ্ন না ঘটে।
বাংলাদেশ সময়: ১০০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৬, ২০২২
এআর/টিসি