ঢাকা, সোমবার, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২০ মে ২০২৪, ১১ জিলকদ ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

জমি অনাবাদি রাখলেই হবে খাস, সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে সতর্ক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০২২
জমি অনাবাদি রাখলেই হবে খাস, সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে সতর্ক

চট্টগ্রাম: হাটহাজারী উপজেলার ফতেপুর, গুমানমর্দন ও ধলই ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে অনাবাদি জমিতে লাল নিশান ও সাইনবোর্ড  স্থাপন কার্যক্রম শুরু করেছে উপজেলা প্রশাসন।

শনিবার (১২ নভেম্বর) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে কৃষি জমি আবাদ করতে মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ করা হয়।

এছাড়াও ১০ একর অনাবাদি জমিতে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাহিদুল আলম বাংলানিউজকে বলেন, জমির শ্রেণি অনুযায়ী ফসল চাষ করা যায়।

কৃষিতে এখন আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহারের মাধ্যমে উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে। এ ব্যাপারে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় দেশের আবাদযোগ্য সব জমি আবাদের আওতায় আনার বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা হচ্ছে, ‘জমির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। কোনো জমিই আবাদের বাইরে রাখা যাবে না। ’

তিনি আরও বলেন, কোনো কৃষি জমি পরপর ৩ বছর অনাবাদি থাকলে বিদ্যমান আইন অনুযায়ী সরকারের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার বিধান রয়েছে। কোনো ব্যক্তি তার জমি কৃষি কাজে ব্যবহার না করে পতিত রাখলে উক্ত জমি রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন ১৯৫০ এর ৯২ (১)(গ) ধারা মোতাবেক খাস করণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।  

হাটহাজারী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আবু রায়হান বাংলানিউজকে বলেন, আবাদযোগ্য সকল জমি আবাদের আওতায় আনার বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক জমির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে লাল পতাকা চিহ্ন দিয়ে সতর্কতা করে হচ্ছে এবং ৩ বছরের বেশি অনাবাদী  জমি খাসকরণ প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সকল আবাদযোগ্য অনাবাদি জমি এই কার্যক্রমের আওতায় আনা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০২২ 
বিই/টিসি
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।