কলকাতা: বিভিন্ন দাবি নিয়ে আপাতত রিলে অনশনের মধ্য দিয়ে প্রতিবাদে যাচ্ছেন ভারতের এয়ারপোর্টস অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার আধিকারিকরা। তবে ধর্মঘটের সিদ্ধান্তে অনড় বিমানকর্মীরা।
কেন্দ্রীয় শ্রম কমিশনের অনুরোধে তাদের এ সিদ্ধান্ত বলে জানানো হয়েছে। এর ফলে কলকাতা বিমানবন্দরসহ কয়েকটি এয়ারপোর্টে রিলে অনশন কর্মসূচি চালিয়ে যাবে এএআই অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন।
পদোন্নতির সুযোগ, আর্থিক সুবিধাবৃদ্ধি, ৮ ঘণ্টার বেশি ডিউটি না করাসহ বেশ কয়েকটি দাবিতে শুক্রবার থেকে গণছুটিতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল এএআই অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন।
তাদের এই সিদ্ধান্তের ফলে ভারতজুড়ে বিমান পরিষেবা ভেঙে পড়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। সমস্যার সমাধানের জন্য কেন্দ্রীয় শ্রম কমিশনের দ্বারস্থ হয় এয়ারপোর্টস অথরিটি অফ ইন্ডিয়া। এরপর কমিশন ওই আধিকারিকদের গণছুটিতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে অনুরোধ করেন।
কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার এয়ারপোর্টস অথরিটি অফ ইন্ডিয়া, এএআই এর অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন এবং শ্রম কমিশনের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি ত্রিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এই বৈঠকের পরই পরবর্তী পদক্ষেপ ঘোষণা করবে অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন।
এই সমস্যা আপাতত মিটলেও বকেয়া বেতনের দাবিতে ২ এপ্রিল থেকে এয়ার ইন্ডিয়ার ৮টি কর্মী সংগঠনের প্রায় ২৮ হাজার কর্মী ধর্মঘটে নামতে চলেছেন।
বুধবার এয়ার ইন্ডিয়ার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একটি বৈঠক করে কর্মী সংগঠনগুলো। দীর্ঘ বৈঠকেও কোনো সিদ্ধান্ত না আসায় বিষয়টিতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করে সংগঠনগুলো।
এ দাবিতে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠিও দিয়েছে এয়ার ইন্ডিয়ার ৮টি কর্মী সংগঠন। এই পরিস্থিতিতে সমস্যার সমাধানের জন্য বৃহস্পতিবার এয়ার ইন্ডিয়ার অন্দোলনরত কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহনমন্ত্রী অজিত সিং। কিন্তু বৈঠকে কোনো সমাধান হয়নি।
সব মিলিয়ে এপ্রিলের শুরু থেকে ভারতে বিমান পরিষেবা বিপর্যস্ত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০১২
আরডি
সম্পাদনা : ওবায়দুল্লাহ সনি, নিউজরুম এডিটর